রূপগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি সিলেটে গ্রেপ্তার
Published: 15th, March 2025 GMT
রূপগঞ্জের আলোচিত সাত বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি মো. ইব্রাহিম (৫৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার জয়নগর মাযাইর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৯, সুনামগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক দল।
গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহিম সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার জয়নগর মাযাইর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। এবং রূপগঞ্জের রুপসী বাগানবাড়ি এলাকায় রুবেল এর বাড়ির ভাড়াটিয়া। পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ান সদর দফতরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক স্কোয়াড কমান্ডার মো.
পরে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-৯, সুনামগঞ্জ এর সহযোগীতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাকে জেলার রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার রূপসি বাঘবাড়ি এলাকায় চকলেট কিনে দেবার কথা বলে নিজ দোকানের ভেতরে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ইব্রাহিম। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ইব্রাহিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী রাত নয়টা থেকে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে রাত এগারোটায় রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম সহ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পরে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করলে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য রাতেই পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন ১৪ মার্চ (শুক্রবার) ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার বাদী হয়ে ইব্রাহিমকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চলাইট জ্বালিয়ে বিএনপির ২ পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৯টা থেক ১টা পর্যন্ত অন্ধকারের মধ্যে টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বুধন্তী গ্রামের বিএনপি নেতা চমক মিয়া ও ইউনিয়ন যুবদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুইপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহতরা মাধবপুর ও বিজয়নগরের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় একটি ধানকাটার হারভেস্টার মেশিনে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব আহমেদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিজান ও চমক গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে যায়।
ঢাকা/পলাশ/এস