ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সিদ্দিক মিয়াকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিফাত উল্লাহ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল হক।

আরো পড়ুন: ময়মনসিংহে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

আরো পড়ুন:

পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

রাজশাহীতে ৯ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’, অভিযুক্ত কারাগারে

এর আগে, গত বুধবার রাতে নেত্রকোণা সদর থেকে সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার সিদ্দিক মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের কড়েহা নুনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।  

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ মার্চ দুপুরে সিদ্দিক মিয়ার মরিচ ক্ষেতে যায় শিশুটি। এ সময় তার সঙ্গে আরো দুইটি শিশু ছিল। মরিচ তুলতে দেখে তাদের ধাওয়া দেন সিদ্দিক মিয়া। এসময় দুই শিশু চলে গেলেও চার বছর বয়সী শিশুটিকে সিদ্দিক মিয়া ডেকে নিয়ে যান। পরে পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিন। অসুস্থ হলে গত রবিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শিশুটিকে। বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর বাবা। রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। 

এদিকে, ভুক্তভোগীর পরিবারের পাশে থেকে বিনামূলে আইনি সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলা নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন। তাঁরা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কার্যালয়ের প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন।

এদিকে আসন ফেরানোর দাবিতে উচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। একটি রিট করেছেন বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন। আরেকটি রিট করা হয়েছে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুলের মাধ্যমে। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সর্বদলীয় অবস্থান১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গোৎসব উপলক্ষে হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন ও আইনি লড়াই চলবে।

কমিটির যুগ্ম–আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। আমরা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছি। দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে। বুধবারও সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত একইভাবে নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে।’

জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি ও কমিটির সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘ইতিমধ্যে দুটি রিট হয়েছে। আরও রিটের প্রস্তুতি চলছে। আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।’

আরও পড়ুনবাগেরহাটে ঢিলেঢালা হরতাল, মহাসড়কে স্থানীয় গাড়ি চলায় কমেছে দুর্ভোগ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা গড়ে তোলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এবং হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। আগের প্রস্তাবের তুলনায় শুধু সীমানা পরিবর্তন করা হয়। এর পর থেকেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, ইসির আসন পুনর্বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছে।

১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ 
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • ময়মনসিংহে সিলিন্ডার লিকেজে হোটেলে অগ্নিকাণ্ড 
  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা