রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন (আরসা) এর প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিসহ ছয়জনকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

গ্রেপ্তারকৃতরা অন্যরা হলেন- মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের  মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোশতাক আহমেদ (৬৬), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার আতিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪), মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের মৃত আব্দুল আমিনে সলিমুল্লাহ (২৭), সলিমুল্লাহর স্ত্রী আসমাউল হোসনা (২৩) ও আরাকান রাজ্যের নুর আলমের ছেলে হাসান (১৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে  ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।  

গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য গোপন বৈঠক করে আসছিলো।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে আসামিরা নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লি আবাসন এলাকার একটি বহুতল ভবনে গোপন বৈঠক করছে। পরে ১৭ মার্চ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আইনি পক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সকালে তাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, ৫ রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় র‌্যাব বাদি হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। 

এদিকে মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুটি মামলায় বিশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।

পরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঈনুদ্দিন কাদির শুনানি শেষে দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরির্দশক কাউয়ুম খান।  

প্রসঙ্গত: ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কাছে মাদকবিরোধী অভিযানে নামে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও ডিজিএফআইয়ের বিশেষ একটি দল। তখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রিজওয়ান রুশদী। গুলিবিদ্ধ হন র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্য সোহেল বড়ুয়া। গুলিতে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা তরুণী সাজেদা বেগমও (২০) নিহত হন।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ডিজিএফআই কক্সবাজার কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো.

আনোয়ার হোসেন মামলা করেন। আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিকে প্রধান করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। পরে চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাহাফুজ ইমতিয়াজ ৫১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন র য়ণগঞ জ রগঞ জ থ ন আর ক ন র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সিদ্ধিরগঞ্জ এবং সোনারগাঁ থানা এবং সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সোনারগাঁ থানা এবং পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে চিঠি দিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন ও পৌরসভা বিএনপি সভাপতি শাজাহান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মেম্বারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, "নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা পুনর্গঠন করার কারণে সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং সোনারগাঁ পৌর বিএনপির উপর নতুনের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে।

তাই আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সোনারগাঁ থানা এবং সোনারগাঁও বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার যাতে আগামী নির্বাচনে আমাদের বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে পারি। 

আপনাদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রস্তাব করছি। আমাদের এই প্রস্তাবটি আপনাদের থানা পৌর কমিটির সভায় উপস্থাপন করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।"

উল্লেখ থাকে যে, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। এই দুই থানার ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হবেন এই আসনের জনপ্রতিনিধি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হাইকমান্ড সারা দেশের সকল সংসদীয় আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের নির্ধারিত দুই থানার দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোন বিকল্প নাই বলে মনে করেন সকলে। বিশেষ করে দলীয় মনোনয়ন প্রশ্নে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বিভেদ বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করে দলীয় প্রতীকের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আসন্ন নির্বাচনে এর করা মাশুল গুনতে হবে বলে আশংকা রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের।

এরই আলোকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের নির্ধারিত সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নেওয়া জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

সেই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এই আহবানে সাড়া দিয়ে সোনারগাঁ বিএনপির নেতাকর্মীরা সকল বিভেদ বিভক্তি ভুলে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদ তাদের।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ 
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • ময়মনসিংহে সিলিন্ডার লিকেজে হোটেলে অগ্নিকাণ্ড 
  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা