আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের একবেলা
Published: 18th, March 2025 GMT
পুরান ঢাকায় অবস্থিত ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের রাখার জন্য হাজতখানায় তিনটি বড় আকারের কক্ষ রয়েছে। কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত চত্বরে আনার পর আসামিদের রাখা হয় ওই হাজতখানায়।
হাজতখানার ভেতর আসামিদের বসার জন্য রয়েছে মাদুর। আসামিরা মাদুরে বসে থাকেন। যখন আদালত থেকে আসামিদের এজলাসকক্ষে তোলার নির্দেশনা আসে, তখন হাজতখানার পুলিশ সেই আসামিকে আদালতে তুলে থাকেন।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ সোমবার।একই সঙ্গে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকেও দুর্নীতির মামলায় হাজির করার দিন ধার্য ছিল।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা। একটি প্রিজন ভ্যান এসে থামে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে। প্রিজন ভ্যানের ভেতরে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। হাজতখানার পুলিশ সদস্যরা কামরুল ইসলাম ও এস কে সুর চৌধুরীর দুই হাতেই হাতকড়া পরিয়ে দেন। পরে তাঁদের প্রিজন ভ্যানের সামনে থেকে হাঁটিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা হাজতখানায় রাখা হয় এই দুই আসামিকে। সেখানে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবিস্তার জানা যায় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে।
তখন সকাল ৯টা ১৫ মিনিট। হাজতখানার ভেতর মেঝেতে মাদুর বিছানো। সেখানে বসে পড়েন কামরুল ইসলাম ও এস কে সুর চৌধুরী। বেলা ২টা পর্যন্ত ওই মাদুরে বসে ছিলেন তাঁরা।
সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র জন ভ য ন হ জতখ ন র মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াতের পর এবার সমাবেশে অংশ নিতে বিশেষ ট্রেন ভাড়া ছাত্রদলের
জামায়াতে ইসলামীর পর এবার বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রদল।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ২০ বগির একটি বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ রেলওয়ে। আগামী রোববার সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছেড়ে যাবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে বেলা সোয়া ১টায়। এই ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় আবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০ বগির ট্রেনটিতে ১ হাজার ১২৬টি আসন রয়েছে। বিশেষ ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলওয়ের চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেল ভবনের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই কারণে নিয়মিত ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।
চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এই ট্রেনে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী যাবেন। সবাই একসঙ্গে যেতে চাওয়ায় ট্রেন ভাড়া করেছেন। বাসে হলে তা সম্ভব ছিল না।
এর আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে দলটি। এই চার ট্রেন ভাড়া করতে দলটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
জামায়াতের ট্রেন ভাড়া করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।