ফারিয়াকে নিয়ে কু-মন্তব্য, সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান
Published: 20th, March 2025 GMT
ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সাজিদা ফাউন্ডেশন। বুধবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়, রাকিবুল হাসান নামের সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন তারা।
সেখানে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ শবনম ফারিয়ার ফেসবুক পোস্টে সাজিদা ফাউন্ডেশনের কর্মী রাকিবুল হাসান কু-মন্তব্য করেন। আমরা তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাই। এ ধরনের আচরণ (অফিস সময়ের ভেতরে বা বাইরে) সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের সুরক্ষা কমিটির তদন্ত চলছে এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাজিদা ফাউন্ডেশনের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে শবনম ফারিয়া পাল্টা এক পোস্টে লেখেন, ‘অনলাইনে বা অফলাইনে, কেউই কোনো নারীর প্রতি হয়রানি করার অধিকার রাখে না। অসম্মানজনক আচরণ কখনোই সহ্য করা উচিত নয়, আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি সাজিদা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য। তাদের এই দ্রুত সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এমন আচরণের ফলাফল ভোগ করতে হয়, তা যেখানেই হোক না কেন। আসুন, আমরা সবাই হয়রানির বিরুদ্ধে দাঁড়াই এবং সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধাশীলতার পরিবেশ গড়ে তুলি।’
ঘটনার সূত্রপাত ১৬ মার্চ। এদিন শবনম ফারিয়া, শাকিব খান, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, তানজিদ হাসান তামিমসহ বিভিন্ন অঙ্গনের একঝাঁক তারকা উপস্থিত ছিলেন শাকিব খানের প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে। কয়েকটি ভিডিও ক্লিপে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা গেছে অভিনেত্রীদের।
এর মধ্যে একটি ক্লিপে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে হাসতে হাসতে বলতে শোনা যায়, আমি তাসকিনের পাশে দাঁড়াব না। আমাকে খাটো লাগবে। তামিম ভাইয়া, তুমি আসো। শবনম ফারিয়া সেই ভিডিও ক্লিপের মন্তব্যের ঘরে আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায় এক যুবককে। যা অভিনেত্রীসহ নেটিজেনদের দৃষ্টি এড়ায়নি।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। পোস্টে ওই যুবকের কমেন্টের স্ক্রিনশট ও ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি তুলে ধরে প্রতিবাদ জানান ফারিয়া। সেই সঙ্গে সাজিদা ফাউন্ডেশনে চাকরি করা সেই যুবকের এই ধরনের মন্তব্যের কারণে প্রতিষ্ঠানটির নামও উল্লেখ করেন নিজের স্ট্যাটাসে। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য় শবনম ফ র য় ব যবস থ ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।
প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে