হিথরো বন্ধ, ১৩০০ ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, হাজারো স্থাপনা বিদ্যুৎহীন
Published: 21st, March 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দর আজ শুক্রবার সারা দিন বন্ধ থাকছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে।
বিমানবন্দরটির কাছের একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর হিথরো কর্তৃপক্ষ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
উপকেন্দ্রটি থেকে হিথরো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উপকেন্দ্রে আগুনের কারণে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথরোতে ব্যাপক বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দেয়।
বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর বন্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে।
বিমানবন্দরটি বন্ধের কারণে আজ ১ হাজার ৩০০টি বেশি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রটির আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী কাজ করছেন।
হিথরো বিমানবন্দরের কাছের বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপক ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপাল এই প্রথম ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করছে, যা দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।
রবিবার (১৫ জুন) পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিবি) সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পিজিবি দৈনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাত ১২টা থেকে এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ৩৮ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে।
আরো পড়ুন:
গ্রাহকদের জরুরি বার্তা দিল ডেসকো
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের ভারত সফরের সময় এই বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে সময় তিন দেশ আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সংযোগ জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে, এই বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ইউনিট ০ দশমিক ০৬৪ ডলার বা ৬ দশমিক ৪ সেন্ট।
এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সই হয়। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল–নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি (এনইএ), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম (এনটিপিসি)।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল ২০২৫ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরের ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এর অর্থ হলো, বছরের একটি নির্দিষ্ট শুষ্ক মৌসুমে নেপালের এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ