পাকিস্তানের জার্সিতে এটি ছিল হাসান নাওয়াজের তৃতীয় ম্যাচ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেই অভিষিক্ত হয়েছিলেন এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। আর নেমেই করলেন দেশটির জার্সিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি।

শুক্রবার (২১ মার্চ, ২০২৫) অ্যাকল্যান্ডের এডেন পার্কে বাঁচামরার এই লড়াইয়ে টস জিতে, পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। মার্ক চ্যাপম্যানের ঝড়ো ৯৪ রানের উপর ভর করে ২০৪ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড।

পাকিস্তান ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার হাসান তার প্রথম সেঞ্চুরি করেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এটি আবার দ্রুততম।  এই ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ৪৪ বলের তিন অংকে পৌঁছান, যা বাবর আজমের ৪৯ বলের সেঞ্চুরি রেকর্ড ভেঙে দেয়।

আরো পড়ুন:

তরুণদের প্রতি আস্থা রাখার আকুতি রাউফের 

রিজওয়ানের চুক্তি বাতিলের পরামর্শ 

ফলে ২৪ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে বিশাল জয় পায় পাকিস্তান। এই জয়ের ফলে সিরিজে টিকে রইল সফরকারী দলটি। যদিও স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড এখনও ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। 
বিস্তারিত আসছে.

........  
 

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ