ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ, ২০২৫) মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডান আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৬ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে কাজী নুরুল হাসান সোহানের সেঞ্চুরিতে ভর করে কাছাকাছি গিয়েও হার মানে ধানমন্ডি। ৪৩.

৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা থামে ১৯৩ রানে। ২৩ রানের দারুণ এক জয় পায় সাদা-কালো শিবির।

এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান নিয়েছে তামিম-মুশফিকরা। সমান ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব আছে অষ্টম স্থানে।

রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ধানমন্ডি। সেখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান সোহান। তাকে সহায়তা করেন হাবিবুর রহমান, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও মাসুম খান টুটুল।

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে লিগে ফিরবেন মাহমুদউল্লাহ

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছেন ব্যাটসম্যানরা!

হাবিবুর ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১, ইয়াসির ১৪ ও টুটুল ১৮ রান করে আউট হলেও সোহান তুলে নেন সেঞ্চুরি। দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হন। তার আগে ৯৩ বল খেলে ১০টি চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রান করে যান। ধানমন্ডি হারলেও ম্যাচসেরা তিনিই হন।

বল হাতে মোহামেডানের সাইফ উদ্দিন ৪.৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তাসকিন আহমেদ ৭ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২টি ও তাইজুল ইসলাম ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

তার আগে মোহামেডানের কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও বেশ কয়েকটি মাঝারি মানের জুটি হয়। তাতে তাদের রান ২০০ পেরোয়। সেখানে বড় ভূমিকা রাখেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি ৪৭ বলে ৫ চারে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩ চারে করেন ৪৪ রান। রনি তালুকদার ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৯, তামিম ইকবাল ২৬ ও মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২৬ রান। তাতে ৬ উইকেটে মোহামেডানের রান ২১৬ পর্যন্ত যায়।

বল হাতে ধানমন্ডির সেরা ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তিনি ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। হাসান মুরাদ ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ নমন ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার একদিন পর আজ সোমবার আবারও সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। সেখানে তারা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিজে জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের স্লোগান ছিল ' অবৈধ কালো আইন মানি না' ইত্যাদি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

ঈদের ছুটি শুরু আগে কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ