বৃথা গেল সোহানের সেঞ্চুরি, মোহামেডানের আরও একটি জয়
Published: 21st, March 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ, ২০২৫) মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডান আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৬ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে কাজী নুরুল হাসান সোহানের সেঞ্চুরিতে ভর করে কাছাকাছি গিয়েও হার মানে ধানমন্ডি। ৪৩.
এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান নিয়েছে তামিম-মুশফিকরা। সমান ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব আছে অষ্টম স্থানে।
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ধানমন্ডি। সেখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান সোহান। তাকে সহায়তা করেন হাবিবুর রহমান, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও মাসুম খান টুটুল।
আরো পড়ুন:
ঈদের আগে লিগে ফিরবেন মাহমুদউল্লাহ
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছেন ব্যাটসম্যানরা!
হাবিবুর ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১, ইয়াসির ১৪ ও টুটুল ১৮ রান করে আউট হলেও সোহান তুলে নেন সেঞ্চুরি। দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হন। তার আগে ৯৩ বল খেলে ১০টি চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রান করে যান। ধানমন্ডি হারলেও ম্যাচসেরা তিনিই হন।
বল হাতে মোহামেডানের সাইফ উদ্দিন ৪.৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তাসকিন আহমেদ ৭ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২টি ও তাইজুল ইসলাম ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
তার আগে মোহামেডানের কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও বেশ কয়েকটি মাঝারি মানের জুটি হয়। তাতে তাদের রান ২০০ পেরোয়। সেখানে বড় ভূমিকা রাখেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি ৪৭ বলে ৫ চারে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩ চারে করেন ৪৪ রান। রনি তালুকদার ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৯, তামিম ইকবাল ২৬ ও মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২৬ রান। তাতে ৬ উইকেটে মোহামেডানের রান ২১৬ পর্যন্ত যায়।
বল হাতে ধানমন্ডির সেরা ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তিনি ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। হাসান মুরাদ ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ নমন ড উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।