খুলনা মহানগরের ব্যস্ততম সাতরাস্তা মোড়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র মহড়া দিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। সেখানে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

প্রকাশ্যে এভাবে সশস্ত্র মহড়া ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় নগরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে সন্ত্রাসীদের ধরতে রাতেই বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

খুলনা নগরের সাতরাস্তা মোড়টিতে প্রায় সারা রাতই মানুষের সমাগম থাকে। সেখানে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার পরিবহন কাউন্টার আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নগরের শান্তিধাম মোড় থেকে ৮-১০টি মোটরসাইকেলে করে একদল অস্ত্রধারী সাতরাস্তা মোড়ে আসে। সেখানে এসে তারা মোটরসাইকেল থামিয়ে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর কয়েকজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে উল্লাস প্রকাশ করে ও গুলির খোসা কুড়িয়ে নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা সেখানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়।

ঘটনার পর খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনার পর নগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল জোরদার করা হয়েছে। কারা ও কেন ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী