Risingbd:
2025-08-01@09:13:46 GMT

৪৮ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৩৯৩

Published: 22nd, March 2025 GMT

৪৮ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৩৯৩

জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরীতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময় ৩৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (২২ মার্চ) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়,  বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ও শুক্রবার (২১ মার্চ) দুইদিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ১৩৩৪টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। তন্মধ্যে রাতে ৬৮০টি ও দিনে ৬৫৪টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল পেট্রোল টিম ৯৫৮টি, ফুট পেট্রোল টিম ১৪৬টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ২৩০টি। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ১৪২টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। গত দুই দিনে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ৩৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে ৩৩ জন ডাকাত, ২২ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, চার জন চাঁদাবাজ, ১৮ জন চোর, ৫৫ জন মাদক কারবারি, ৭৩ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী।

অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি চাপাতি, দুটি চাকু, একটি রামদা, একটি তলোয়ার, একটি কাটার, একটি ক্যারিং ব্যাগ,  ২১টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার ও নগদ পাঁচ লাখ ৬২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে সাত কেজি ২৯০ গ্রাম গাঁজা, ৭৪৯ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম হেরোইন, ছয় বোতল ফেন্সিডিল, সাত বোতল বিদেশি মদ, সাত ক্যান বিয়ার ও ১৬টি মদের খালি বোতল।

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

কুড়িগ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ