টি-টোয়েন্টির যুগে এখন ডট বলও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কে কত উইকেট পেলেন, এর চেয়েও মাঝেমধ্যে বেশি আগ্রহের বিষয় হয়ে যায় কে কতগুলো ডট বল করতে পারলেন। ডেথ বোলিংয়ের সময় একটা ডটও  ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

আইপিএল ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ডট বল সবচেয়ে বেশি করেছেন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। এমনকি তালিকার সেরা পাঁচে তিনি ছাড়া আর কোনো পেসারই নেই। তাঁকে এবার দলে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বোলিং ইউনিট খুব একটা ভালো হয় না, এই সমালোচনাও অনেক দিনের। অথচ আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডট বল করা বোলারকে স্কোয়াডে নিয়েও তাঁকে ছাড়াই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বেঙ্গালুরু।

আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৬৭০টি ডট বল করেছেন ভুবনেশ্বর, ওভারপ্রতি তিনি রান দিয়েছেন ৭.

৫৫ গড়ে। শুধু যে ডট করেছেন, তাই নয়—  টুর্নামেন্টে ১৮১টি উইকেটও আছে এই পেসারের।

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ডট

* সব হিসাব এবারের আইপিএলের আগে।

ভুবনেশ্বরের পরই এই তালিকায় আছেন সুনীল নারাইন। ক্যারিবিয়ান এই স্পিনার ১৮০ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে ১৬০৫টি ডট বলও করেছেন। তিনে আছেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন— বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা এই বোলার ১৫৬৩টি ডট বল করেছেন, তারও উইকেট ১৮০টি।  


আইপিএলের ইতিহাসে যুজবেন্দ্র চাহালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯২ উইকেট পিয়ূশ চাওলার। ডট বল করার দিক থেকে তিনি আছেন চার নম্বরে— আইপিএলে মোট ১৩৩৭টি বলে কোনো রান দেননি  চাওলা। তালিকার পাঁচে আছেন ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরা—১২৬৯টি ডট বল করেছেন তিনি। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট যার, সেই চাহাল ডট বল দেওয়ার ক্ষেত্রে আছেন সাত নম্বরে। টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ১২২৯টি ডট বল করেছেন চাহাল।

আরও পড়ুনশাহরুখ–দিশার নাচ আর শ্রেয়ার গানে আইপিএলের উদ্বোধন১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সবচ য় উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ