এবার এনামুলের অপরাজিত ১৪৪, জিতল তার দলও
Published: 25th, March 2025 GMT
এক ম্যাচ আগে ১৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। পরের ম্যাচে করেছিলেন ৬৮ রান। এবার তার ব্যাট থেকে এলো ঝকঝকে ১৪৪ রানের আরেকটি অপরাজিত ইনিংস।
তাতে জিতেছে তার দল গাজী গ্রুপ। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করতে নেমে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৮ উইকেটে ২৮১ রান করে। জবাবে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৮.
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২১তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এনামুল। ১৪২ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় একই ছন্দে ব্যাটিং করে তিন অঙ্কের ল্যান্ডমার্ক ছুঁয়েছেন। লিগে এখন পর্যন্ত ৫৩০ রান তুলে সবার ওপরে তার অবস্থান।
আরো পড়ুন:
তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের জয়
পারভেজের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়রথ ছুটছে
লক্ষ্য তাড়ায় এনামুলকে শুরুতেই সাহায্য করেন ওপেনার সাদিকুর। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৭ বাউন্ডারিতে ৪০ বলে ৪৫ রান করেন। বাকিরা তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে কেবল তোফায়েল ২৩ রান করেন। বাকিটা ছিল এনামুল-শো।
গুলশানের স্পিনার ইলিয়াস সানী ১০ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু বাকিরা তেমন আলো ছড়াতে পারেননি।
এর আগে গুলশানের হয়ে ফিফটির দেখা পান লিটন কুমার দাশ ও আজিজুল হাকিম। লিটন ৬২ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৩ রান করেন। আজিজুল ৭৬ বলে ৫৩ রান করেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়। বোলিংয়ের আগে ব্যাটিংয়ে ইলিয়াস ৩৮ রান করেন। আলিফের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গুলশান বড় পুঁজি পেলেও এনামুলের দ্যুতি ছড়ানো সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপ সহজেই জয় পায়।
বল হাতে গাজী গ্রুপের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সাকলায়েন, আবু হাসিম ও আমিনুল বিপ্লব।
লিগে আট ম্যাচে ষষ্ঠ জয় তাদের। পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে তাদের অবস্থান। অন্যদিকে গুলশানের এটি আট ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।