দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ব্রাজিল দল মোটেই সন্তোষজনক ফুটবল খেলছিল না। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে বুধবার তো (২৬ মার্চ) আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় ব্রাজিল। ব্যাপারটা ভালোভাবে নিচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। এই ম্যাচ হারের ফলে খুব দ্রুতই প্রতিক্রিয়া দেখাতে যাচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৭ মার্চ) দরিভালের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে উড়ে যাওয়ার পর সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস একটি জরুরী সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বৈঠকেই ব্রাজিলের কোচ দরিভলের ভবিষ্যত ঠিক করা হবে। আন্তর্জাতিক বিরতির পর এই ধরনের আলোচন রুটিংয়ের অংশ হলেও, বুয়েন্স আয়ার্সের পারফরম্যান্সের কারণে রদ্রিগেস কোচিং স্টাফের সঙ্গে দ্রুত সাক্ষাৎকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমগুলো দরিভালের কাছের এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে  কোচ এখনও তার ভবিষ্যত নিয়ে কোনো জরুরি তথ্য পাননি। যদিও এই ৬২ বছর বয়সী কোচের বদলি হিসেবে সিবিএফের অভ্যন্তরে  কয়েকটি নাম আলোচনা করা হচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তির নামটা আবার আসছে সামনে। তাছাড়া ফ্লামেঙ্গোর ফিলিপে লুইস এবং আল হিলালের বর্তমান পর্তুগিজ কোচ জর্জে জেসুসকেও বিবেচনা করা হচ্ছে ব্রাজিলের প্রধান কোচ পদে।

আরো পড়ুন:

৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে এতো বড় ব্যবধানে হারল ব্রাজিল

বড় হারের পর ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক

ফার্নান্দো ডিনিজের স্থলে দরিভাল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের। সাও পাওলোর কোচের পদ ছেড়ে আসা দরিভাল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বকাপ বিজয়ীদের ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে পারেননি। গত গ্রীষ্মে ব্রাজিল কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয়। মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আত্মসমর্পণ করে রীতিমত।

ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইয়ে (কনমাবেল) অঞ্চলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। শীর্ষ ৬টি দল ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করবে। এই আসরটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন ব শ বক প দর ভ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ