আগামী ডিসেম্বরে আসছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক’। এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলোচ্য সুকুক সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যু করা হবে। এর মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২০টি উপজেলার পল্লী এলাকায় সড়ক উন্নয়ন, প্রশস্তকরণ, পুনর্বাসন ও ঢাল রক্ষণাবেক্ষণ এবং হাট-বাজার ও পর্যটন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রকল্প এলাকায় কৃষি-অকৃষি অর্থনীতির সঞ্চালন, গ্রামীণ এলাকার জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবহন ব্যয় ও সময় হ্রাস করা সম্ভব হবে। তাই, সুকুকটির নামকরণ ‘আইআরআইডিপিএনএফএল সোসিও-ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সুকুক’ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ দিনের সময় দিল সরকার

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার: ইসি আনোয়ারুল

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ৭ম 'বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক' ইস্যুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধীনে গঠিত শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভাপতি ড.

মো. কবির আহাম্মদ। 

কমিটির সদস্যরা সুকুক ইস্যুর সম্মতি দিয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পটির বিপরীতে ইজারা পদ্ধতিতে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ৭ বছর মেয়াদি সুকুক ইস্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ হাজার কোটি টাকার মোট ছয়টি সুকুক ইস্যু করেছে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র প রকল প ন নয়ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি