সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয়: মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল পেরু
Published: 4th, November 2025 GMT
পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেটসি শ্যাভেজকে মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় দেওয়ায় উত্তর আমেরিকার দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু। সোমবার (৩ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হগো দে জেলা এই ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হগো দে জেলা সাংবাদিকদের জানান, পেরুর কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর অধীনে দায়িত্ব পালনকারী বেটসি শ্যাভেজ লিমায় অবস্থিত মেক্সিকান দূতাবাসে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।
দে জেলা বলেন, “এই অপ্রীতিকর কাজের প্রতিক্রিয়ায় এবং মেক্সিকোর বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের বারবার পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে, পেরু সরকার আজ মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্যাভেজ ২০২২ সালের শেষের দিকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কাস্টিলকে সেই সময় ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল এবং তিনি এখনও গ্রেপ্তার আছেন।
শ্যাভেজ ২০২৩ সালের জুন থেকে কারাবন্দী ছিলেন, কিন্তু তার বিচার চলাকালীন গত সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক তাকে মুক্তি দেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দি মুক্তি পাচ্ছেন
যাবজ্জীবন বা ৩০ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সাজা ভোগ করেছেন, এমন ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক আদেশ (প্রজ্ঞাপন নম্বর-১৪৩) জারি করা হয়েছে এবং আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর।
আরো পড়ুন:
ফেনী দ্বিতীয় কারাগারে ১৮০ বন্দিকে স্থানান্তর, ফুল দিয়ে বরণ
সিরাজগঞ্জে কারাগারে আ.লীগ নেতা বাচ্চুর মৃত্যু
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বন্দিদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে কারা অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই ৩৭ জন বন্দির অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় সাজা ভোগ করেছেন।
এই বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল ফরহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, “যাদের সাজা ছিল ৩০ বছর বা যাবজ্জীবন, তাদের মধ্যে যেসব বন্দি রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছে, তাদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, আচরণ ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে সরকার তাদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তিনি আরো জানান, এই আদেশ অনুযায়ী সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কারো অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারো ৭ বছর বা ৬ বছর। সবগুলোই মওকুফ করাতে এবার তারা মুক্তি পাবেন।
ঢাকা/এমআর/এসবি