নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এখন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন:

মাঠ আর আগের মতো নেই: সারজিস

কক্সবাজারে পুরনোদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এই সীমার বেশি ব্যয় করলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে। 

নতুন নিয়মের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার (৩ নভেম্বর)। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ও রাজনৈতিক দলের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে নতুন দিকনির্দেশনাও যোগ করা হয়েছে। বিশেষ করে, অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের বিস্তারিত তালিকা প্রার্থীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

নতুন সংযোজিত অনুচ্ছেদ ৪৪ অনুযায়ী, ব্যয় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ভোটারপ্রতি ১০ টাকা। অনুচ্ছেদ ১৩-এর সংশোধনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকার জামানত, যা আগে ছিল ২০ হাজার টাকা।

আইন মন্ত্রণালয়ের মতে, এই পদক্ষেপ নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় সমতা বজায় রাখবে, অযাচিত ব্যয় রোধ করবে এবং নির্বাচনের সামগ্রিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোল সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবার উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘‘আদালতের একতরফা রায়ের ভিত্তিতে আদিবাসী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে তারা নিজ ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন বাঁশঝাড়ের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’’ বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘‘আদালতের কোনো নোটিশ ছাড়াই প্রশাসন ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়। ফলে খাট, চেয়ার, টেবিলসহ কোনো আসবাবপত্রও বের করতে পারেননি ভুক্তভোগীরা।’’ 

আরো পড়ুন:

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

বক্তারা দাবি করেন, ‘‘যে জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, তা কোল সম্প্রদায়ের মানুষেরই। ১৯৫০ সালের টেনেন্সি আইনের ৯৭ ধারায় আদিবাসীদের কাছ থেকে ভূমি ক্রয়ে জেলা প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন হলেও এ ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হয়নি। প্রকৃত মালিককে হিন্দু দেখিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়েছে, যাতে অনুমতি গ্রহণ করতে না হয়। এ কারণে বোঝা যায়, জমির রেজিস্ট্রি সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি এবং জমি আদিবাসীদেরই।’’ 

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গণেশ মার্ডি। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার পরিচালক ফয়জুল্লাহ্ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাসিবুল, সংগঠনের সহ-সভাপতি রাজকুমার শাও, প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্রিষ্টিনা বিশ্বাস, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক রূপচাঁদ এক্কা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামাল কাদেরী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- আদিবাসী পরিষদের সদস্য আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস, মাসাউসের পরিচালক মেরিনা হাঁসদা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুকুল বিশ্বাস, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছোটন সরদার, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা আহমেদ, বাড়ি থেকে উচ্ছেদের শিকার রুমালী হাঁসদা, ভুট্টু কিস্কু, সুজন সরেন, সনাতন সরেন প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, জমির মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। 

আদালতের এক রায়ের প্রেক্ষিতে গত ২৭ অক্টোবর বাবু ডাইং গ্রামের ৭৭ শতক জায়গা থেকে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে এ জমিতে কোল সম্প্রদায়ের পাঁচ পরিবার বাস করছিল। 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ