কয়েক বছর আগেও ঈদের নাটকে মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মম, মেহজাবীনদের ব্যস্ততা ছিল। এখন তাঁরা কম কাজ করছেন। বড় বাজেটের ও ভিন্ন রকম গল্পেই কেবল তাঁদের পাওয়া যায়। জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পীরা কাজ কমিয়ে দেওয়ায় সেই জায়গা নিয়েছেন তরুণেরা। এর মধ্যে তৌসিফ মাহবুব, তাসনিয়া ফারিণ, তানজিন তিশা, তটিনী, ইয়াশ রোহান, খায়রুল বাসার, সামিরা মাহি, তানিয়া বৃষ্টি, আইশা খানসহ অনেকে কাজ করছেন। সে হিসেবে বলা চলে, এবারের ঈদে তরুণ তারকাদের দাপট থাকবে বেশি।

টেলিভিশনের পাশাপাশি ইউটিউবের জন্য নাটক বানায় বেশ কয়েকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। গত কয়েক বছরে ঈদ উৎসবে থাকত শতাধিক নাটক। ইউটিউবেও কয়েক শ নাটক প্রচারিত হতো। এবার সেই চিত্র পাল্টে গেছে। একাধিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার নাটক অর্ধেকের কম। সার্বিক পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নাটক বানানো কমিয়ে দিয়েছেন। অভিনয়শিল্পীরা জানিয়েছেন, গত বছরেও তাঁরা ১৫-২০টি নাটকে অভিনয় করেছেন, সেখানে তাঁরা এবার ৮-১০টি নাটকে অভিনয় করেছেন।

তৌসিফ মাহবুব। ছবি: শিল্পী সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ