পটুয়াখালীতে আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে মোহাম্মদ রাফি (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পৌর নিউমার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মানির হাওলাদারের ছেলে রাফি। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এ ছাড়া আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে মো.

বেলাল তালুকদার (১৬) ও তার চাচাতো ভাই মো. রাব্বির (১৫) হাত ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেলাল ও রাব্বির বাড়ি সদর উপজেলার হকতুল্লা গ্রামে।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নয়ন সরকার জানান, আতশবাজির একটি অংশ রাফির শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে মারাত্মক আঘাত করেছে। যে কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া আতশবাজির ঘটনায় আরও দুজন হাসপাতালে এসেছিল। তাদের হাত ও চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রাফির মামা আবুল বাশার ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাফি তার বাড়ির পাশে একটি আতশবাজি ফোটায়। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে আতশবাজির অংশবিশেষ রাফির গলা ভেদ করে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে। রাফির গলা থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। টের পেয়ে স্বজনেরা তাৎক্ষণিক রাফিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপর ঘটনায় আহত বেলাল ও রাব্বির ফুফা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেলাল ও রাব্বি একটি আতশবাজি হাতে নিয়ে ফোটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় আতশবাজিটি হাতে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়। এতে বেলালের ডান হাতের তালু, আঙুলসহ একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার বাঁ চোখে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। আর রাব্বির ডান হাতের তালু ও আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত দুজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেছেন।

সিদ্দিকুর রহমান জানান, চিকিৎসক বলেছেন বেলালের হাতের একটি অংশ কাটা লাগতে পারে। তাই দুজনকে নিয়ে বরিশালে যাচ্ছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক আতশব জ

এছাড়াও পড়ুন:

ভেলানা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল উদ্বোধনে ঐতিহাসিক আতশবাজি প্রদ

মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণিল আতশবাজি প্রদর্শনী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী মালে ও আশেপাশের ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে একযোগে আতশবাজির প্রদর্শন করা হয়, যা দেশটির ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়। মালদ্বীপ বিমানবন্দর কোম্পানি লিমিটেড (এমএসিএল) জানিয়েছে, এই সিঙ্ক্রোনাইজড ও সমন্বিত প্রদর্শনী ছিল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়ার মতোই ব্যতিক্রমী।

প্রদর্শনীটি পরিচালনার জন্য মালে শহরের আশেপাশের সাগরের ১৬টি ভাসমান স্থানে এবং বিমানবন্দরের এলাকায় আরো ৩টি স্থানে আতশবাজি মর্টার স্থাপন করা হয়। পুরো আয়োজনটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয় যাতে সমস্ত স্থান থেকে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী আতশবাজি ফুটানো সম্ভব হয়।

প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে গিনেস রেকর্ড স্বীকৃতি

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অফিসিয়াল প্রতিনিধি ও বিচারকরা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত থেকে এই রেকর্ড যাচাই ও নিশ্চিত করেন। এরপর রবিবার, নতুন টার্মিনালে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে রেকর্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ এমএসিএল-এর হাতে গিনেস সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও ড্রোন শো

এই মনোমুগ্ধকর আতশবাজি প্রদর্শন দেখতে মালে ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। পুরো আকাশজুড়ে রঙিন আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে মালদ্বীপের আকাশ। শুধু আতশবাজিই নয়, একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় একটি অত্যাধুনিক ড্রোন শো, যা দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে।

এমএসিএল জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠান শুধু নতুন টার্মিনালের উদ্বোধনই নয়, বরং মালদ্বীপের উন্নয়ন, পর্যটন এবং আন্তর্জাতিক সংযোগের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনাও।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভেলানা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল উদ্বোধনে ঐতিহাসিক আতশবাজি প্রদ