পটুয়াখালীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে এক শিশু নিহত, দুই কিশোরের হাত-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত
Published: 30th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীতে আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে মোহাম্মদ রাফি (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পৌর নিউমার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মানির হাওলাদারের ছেলে রাফি। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ছাড়া আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে মো.
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নয়ন সরকার জানান, আতশবাজির একটি অংশ রাফির শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে মারাত্মক আঘাত করেছে। যে কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া আতশবাজির ঘটনায় আরও দুজন হাসপাতালে এসেছিল। তাদের হাত ও চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রাফির মামা আবুল বাশার ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাফি তার বাড়ির পাশে একটি আতশবাজি ফোটায়। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে আতশবাজির অংশবিশেষ রাফির গলা ভেদ করে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে। রাফির গলা থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। টের পেয়ে স্বজনেরা তাৎক্ষণিক রাফিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর ঘটনায় আহত বেলাল ও রাব্বির ফুফা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেলাল ও রাব্বি একটি আতশবাজি হাতে নিয়ে ফোটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় আতশবাজিটি হাতে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়। এতে বেলালের ডান হাতের তালু, আঙুলসহ একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার বাঁ চোখে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। আর রাব্বির ডান হাতের তালু ও আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত দুজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেছেন।
সিদ্দিকুর রহমান জানান, চিকিৎসক বলেছেন বেলালের হাতের একটি অংশ কাটা লাগতে পারে। তাই দুজনকে নিয়ে বরিশালে যাচ্ছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫