‘নোটবুক উদযাপন’ করায় শাস্তি পেলেন লখনৌর স্পিনার
Published: 2nd, April 2025 GMT
‘নোটবুক উদযাপন’ করেই শাস্তি পেলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের তরুণ পেসার দিগ্বেশ সিং রাঠি। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর বিশেষ ভঙ্গিতে উদযাপন করায় তার ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে তার নামের পাশে।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারের শেষ বলটি ছিল শর্ট এবং ওয়াইড। পাঞ্জাবের ব্যাটার প্রিয়াংশ আর্য সেটি পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে শার্দুল ঠাকুরের তালুবন্দি হন। মাত্র ৯ বলে ৮ রান করে ফিরে যেতে হয় প্রিয়াংশকে।
উইকেট পাওয়ার পর দিগ্বেশ নোটবুকে নাম লেখার ভঙ্গিতে উদযাপন করেন, যা আম্পায়ারদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সতর্ক করা হয়। ম্যাচ শেষে আম্পায়ারদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইপিএল আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয় এই তরুণ পেসারকে।
বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বোলার দিগ্বেশ সিং রাঠিকে আইপিএল আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং তার নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে।’
দিগ্বেশ আর্টিকেল ২.
দিগ্বেশের এমন উদযাপন ভালোভাবে নেননি ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। তিনি সরাসরি বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারি, যদি ব্যাটসম্যান টানা ছক্কা বা বাউন্ডারি মারার পর বোলার উইকেট নিয়ে সেলিব্রেশন করে। কিন্তু একজন বোলারের তো ছয়টি বল থাকে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি পাঁচটি ডট বলের পর ষষ্ঠ বলে উইকেট পান, আর তখন এমন কিছু করেন, সেটি অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। এটি দেখায় যে বোলার উইকেট পাওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না, তাই পেয়ে এমনভাবে উদযাপন করছেন।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা