১৩ রান করেই যে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম
Published: 2nd, April 2025 GMT
১১ জনের খেলা ক্রিকেটে ১২ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত ১৩ রান!
হ্যামিল্টনে আজ নতুন বিশ্ব রেকর্ডই গড়ে ফেললেন পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম। কী রেকর্ড? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ নম্বরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ রান করার।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ নম্বরে ব্যাট করার ঘটনা কয়টি? একেবারে কিন্তু কম নয় সংখ্যাটা—১০ বার। তবে সব কটি ঘটনাই সাম্প্রতিক অতীতের। ক্রিকেটে কারও ১২ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামার ঘটনাই তো একসময় কল্পনা করা যায়নি। ছয় বছর আগে, মানে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কাউকে ১২ নম্বরে ব্যাটিং করতে দেখে।
এর আগে অবশ্য ১২ নম্বরে ব্যাট করার কোনো সুযোগই ছিল না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ওই বছরের আগস্টে কনকাশন সাব বা মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যার কারণে খেলোয়াড় বদলির নিয়ম চালু করে আইসিসি। এ নিয়মে কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে যদি কনকাশন হয়, তবে লাইক টু লাইক বা একই রকম ভূমিকা পালন করা খেলোয়াড়কে বদলি হিসেবে নামাতে পারে দলগুলো।
নতুন এই নিয়ম চালুর ৩৩ দিন পরই প্রথম কনকাশন বদলি খেলোয়াড়কে দেখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। কিংস্টন টেস্টে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেল দিনে ভারতের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতীয় ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরার বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ নম্বর ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভোর হেলমেটে আঘাত করে। এরপর দিনের শেষ আরও দুই বল খেলেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছিলেন ব্রাভো। তবে পরের দিন চতুর্থ ওভারের প্রথম বলটি খেলার পর অস্বস্তি বোধ করায় উঠে যান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ‘১২ নম্বর’ ব্যাটসম্যান শ্যানন গ্র্যাব্রিয়েল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস