চলন্ত অটোরিকশায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৬
Published: 2nd, April 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় একটি চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অটোরিকশার যাত্রী নারী, শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার কন্ট্রাক্টর মসজিদ এলাকায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সেলিনা বেগম (৩২), তাঁর ছেলে মো. শাহরিয়ার (১২), মেয়ে হৃদি (১৪), হৃদিকা (১৪ মাস), বোনের মেয়ে লামিয়া (১৪) ও বোনের ছেলে (৬)। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁদের উদ্ধার করে গুরুতর পাঁচজনকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দগ্ধ সেলিনা বেগমের দেবর তাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর ভাবি নিজের এবং বোনের সন্তানদের নিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা নিয়ে চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাপরাশির বাড়ি থেকে কন্ট্রাক্টর মসজিদ এলাকায় বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অটোরিকশাটি কন্ট্রাক্টর মসজিদের পশ্চিমে পৌঁছালে হঠাৎ অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারী, শিশুসহ পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের শরীরের ৫-৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবাই আশঙ্কামুক্ত।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সালিশে বেত্রাঘাত করায় সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৬
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাম্য সালিশে বেত্রাঘাত ও জরিমানা করার জেরে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে মামলা হলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেন গৃহবধূ। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম জাকিরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে সালিশ বৈঠক বসে।
বৈঠকে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৫০টি বেত্রাঘাত ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে যুবকের বড় ভাই প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রদল নেতা জাকিরসহ ছয়জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জাকিরসহ দু’জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবকের বড় ভাই বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা জাকির ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সুবিধা আদায় করছে।’
ছাত্রদল নেতা এস এম জাকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকেসহ আমার স্বজনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।’ ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এতে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।