তাইওয়ান ঘিরে দ্বিতীয় দিনের মতো সামরিক মহড়া চীনের
Published: 3rd, April 2025 GMT
তাইওয়ানকে ঘিরে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো সামরিক মহড়া করে চীন। তাইওয়ান প্রণালিতে মহড়ার সময় ১০টি চীনা যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয়।
প্রথমবারের মতো চীন এ মহড়ার কোড নাম দিয়েছে ‘স্ট্রেইট থান্ডার-২০২৪এ’। তারা বলেছে, দ্বীপটিতে অবরোধ করা এবং নির্ভুলভাবে আঘাত করার ক্ষমতা বাড়াতে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
চীনের এ মহড়ার সমালোচনা করেছে তাইওয়ান।
গত মঙ্গলবার তাইওয়ানকে ঘিরে মহড়া শুরু করে চীন। এদিন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তেকে ‘পরজীবী’ হিসেবে অভিহিত করেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের এশিয়া সফরের আগে এবং লাইয়ের কথার জবাব দিতে এ মহড়া করে চীন। চীন তাঁর এ সফরের বিরোধিতা করে আসছে। স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে চীন।
তবে তাইওয়ান বারবার এ দাবি অস্বীকার করেছে। গত বছর গণতান্ত্রিকভাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন লাই চিং তে। তবে চীন তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিহিত করে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও চীনের দাবিকে অস্বীকার করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ইওয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টা শুল্ক ২০% হওয়াটা স্বস্তির খবর
আলহামদুলিল্লাহ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হয়েছে। এটি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। এ শুল্কহার ব্যবস্থাপনযোগ্য। একটি বিশ্ব শক্তির চাপের মুখে এ সফল সমঝোতা করতে পারায় সরকার ও আলোচনা দলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন। এটি সম্ভবত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে কঠিন লড়াইগুলোর একটি ছিল, যা পরিপক্বতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলা করেছে তারা।
আমাদের এখন সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ভিয়েতনাম ভবিষ্যতে পাল্টা শুল্ক কমানোর চেষ্টা করে যাবে। এমনকি ভারতও সুবিধাজনক চুক্তি করতে পারে। ফলে আমাদেরও চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এটি মনে রাখা জরুরি যে এই ২০ পাল্টা শুল্ক বিদ্যমান শুল্কের ওপর অতিরিক্ত হিসেবে আরোপ হবে। ফলে ব্র্যান্ডগুলো খুচরা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে বা ক্রয়াদেশের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। ব্র্যান্ডদের কেউ কেউ আমাদের এ শুল্ক ভাগাভাগির জন্য চাপ দিতে পারে। এ চাপের কাছে নত হওয়া যাবে না। কারণ, এটি আর্থিকভাবে অসম্ভব ও শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
বর্তমান সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের এখন আরও উদ্ভাবনী হতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে হবে। পণ্যের মান, সময়মতো পণ্য সরবরাহ ও টেকসই উৎপাদনের ওপর জোর দিতে হবে। এতে বিশ্ববাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।
আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার কৌশল অব্যাহত রাখি, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে ব্যবসা আরও প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ আরও শক্তিশালীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিষ্ঠিত হবে।
শরীফ জহির
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনন্ত গ্রুপ ও চেয়ারম্যান, ইউসিবি