এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কাল রাতে লিয়াম লিভিংস্টোন যখন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে সামনে লাফিয়ে শুবমান গিলের ক্যাচটি নিলেন, নতুন উচ্চতায় উঠে গেলেন বোলার ভুবনেশ্বর কুমার। ভারতীয় বোলার যে আইপিএলে পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন।

গিলের উইকেটটি ছিল আইপিএল ক্যারিয়ারে ভুবনেশ্বরের ১৮৩তম উইকেট। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে পাওয়া একমাত্র উইকেটটি ডোয়াইন ব্রাভোর পাশে বসিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার ভুবনেশ্বরকে। ২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১৬১ ম্যাচে ১৮৩ উইকেট পেয়েছিলেন ক্যারিবীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ব্রাভোকে ছুঁতে ভুবনেশ্বরকে খেলতে হলো ১৭৮ ম্যাচ।

আইপিএলে উইকেট শিকারে পেসারদের মধ্যে এরপরই আছেন লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি ১২২ ম্যাচে পেয়েছেন ১৭০ উইকেট। শীর্ষ পাঁচের শেষ দুজন যশপ্রীত বুমরা (১৬৫) ও উমেশ যাদব (১৪৪)।

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া পেসারআরও পড়ুনভারতকে রুখে দেওয়ার পুরস্কার র‍্যাঙ্কিংয়ে পেলেন হামজারা১ ঘণ্টা আগেআইপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট যুজবেন্দ্র চাহালের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ বন শ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ