দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার রাশমিকা মান্দানা এখনও ৩০ বছরে পা দেননি। অল্প সময়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে একের পর এক সফল সিনেমার সঙ্গে নাম লিখিয়েছেন এ অভিনেত্রী। বলিউড থেকে দক্ষিণী বিনোদন ভুবন দুই জায়গায়ই কাজ করে যাচ্ছেন এ তারকা।

আল্লু অর্জুন থেকে শুরু করে সালমান খান কিংবা রণবীর কাপুর– এরই মধ্যে প্রথম সারির সব বলিউড তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন এ অভিনেত্রী। আজ ৫ এপ্রিল ২৯ বছরে পদার্পণ করবেন রাশমিকা। জন্মের মাসের শুরুতে তাঁর নতুন উপলব্ধি তৈরি হয়েছে।

যদিও বয়স যত বাড়ে জন্মদিন নিয়ে উপলব্ধি পাল্টায়। রাশমিকার তেমন কিছুই হয়নি। তিনি নিজেকে নিয়ে প্রচণ্ড খুশি। এ প্রসঙ্গে রাশমিকা বলেন, ‘এটি আমার জন্মদিনের মাস, আমি খুব উত্তেজিত। আমি সব সময় শুনেছি, বয়স যত বাড়ে, জন্মদিন উদযাপনে তত আগ্রহ হারিয়ে ফেলে মানুষ। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো।’

রাশমিকা আরও বলেন, ‘বয়স যত বাড়ে, জন্মদিন উদযাপনে তত বেশি উতলা হয়ে উঠছি। বিশ্বাস হচ্ছে না যে, আমি এরই মধ্যে ২৯ বছরে পা দিয়েছি। আমি আরও একটা বছর সুস্থ, সুখী এবং নিরাপদে কাটিয়ে দিলাম! উদযাপনের জন্য যথেষ্ট কারণটা!’

সম্প্রতি ‘সিকান্দার’ সিনেমায় সালমান খানের বিপরীতে দেখা গেছে রাশমিকাকে। ছবিটি বক্স অফিসে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।

উল্লেখ্য, রাশমিকা মান্দানার জন্ম ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল কর্নাটকের কোডাগু জেলার বিরাজপেটে একটি কোডাভা হিন্দু পরিবারে। তাঁর বাবার নিজের শহরে একটি কফি এস্টেট ও একটি অনুষ্ঠান হল রয়েছে এবং তাঁর মা একজন গৃহিণী। তাঁর ছোট বোন শিমন, যাকে তিনি লালনপালনে সাহায্য করেন এবং তাকে মাতৃত্বের মতো অনুভব করেছিলেন। ছোটবেলায় তাঁর পরিবার অভাব-অনটনের মধ্যে কেটেছে। আর্থিকভাবে সংগ্রাম করেছে। তাঁর বাবার বাসা ভাড়া দিতেও কষ্ট হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্লেষণ: ইসরায়েলিরা এখন বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজরা কী ভোগ করছে

ফিলিস্তিনের গাজাকে মৃত্যু উপত্যকা বানিয়ে, প্রতিবেশী লেবাননকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে এবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামায় ইসরায়েলের জনগণ সত্যিকার অর্থে বিভীষিকার মধ্যে বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতা পাচ্ছে। ইরানের পাল্টা হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া ভবন ও স্থাপনার বাসিন্দারা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে, ভেঙে পড়া স্থাপনার নিচে চাপা পড়ে মারা যাওয়া স্বজনের লাশ যে কতটা যন্ত্রণার, তা ইসরায়েলিরা এবার উপলবিদ্ধ করছে।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলার বাস্তবতা নিয়ে আলজাজিরা কথা বলেছে সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিজা জে. ম্যাগনিয়ার সঙ্গে। তিনি মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাত আরো গুরুতর রূপ নেবে। তবে তিনি বলেন, ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত থাকলে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষের সমর্থন কমে আসতে পারে।

প্যারিস থেকে এলিজা মাগনিয়ার আলজাজিরাকে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে, কারণ এটি সেই যুদ্ধের শুরুর মাত্র কয়েক দিন, যেটা ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছে।”

আরো পড়ুন:

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত

মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে লেবানন প্রেসিডেন্টের বৈঠক

এলিজা ম্যাগনিয়ার একজন অভিজ্ঞ যুদ্ধবিষয়ক সংবাদদাতা ও রাজনৈতিক ঝুঁকি বিশ্লেষক, যার অভিজ্ঞতা ৩৫ বছরেরও বেশি। তিনি মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন সংঘাত কাভার করেছেন। বর্তমানে তিনি আলরাই মিডিয়া গ্রুপ-এর সঙ্গে যুক্ত এবং ইরাকসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সামরিক বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক ভাষ্য বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে তার দক্ষতা, যার মাধ্যমে তিনি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের চলমান সংঘাত ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর পর্যালোচনা হাজির করেন।

আলজাজিরার প্রশ্নের জবাবে এলিজা ম্যাগনিয়ার বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, সামরিক বাহিনীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এরইমধ্যে জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই যুদ্ধ খুবই ভয়াবহ হবে এবং এর মূল্য দিতে হবে চরমভাবে। কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে নেতানিয়াহুর পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ইসরায়েলি সমাজ এত ভয়াবহ ধ্বংসের আশঙ্কা করেনি। কারণ ১৯৭৩ সালের পর থেকে ইসরায়েল আর কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে এমন বড় মাত্রার যুদ্ধে যায়নি এবং কখনো এত বড় হামলা সহ্য করেনি; তাও আবার তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে।”

তিনি আরো বলেন, “তাই এখন তারা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা কী ভোগ করেছে, লেবানিজরা কী সহ্য করেছে। তারা নিজের চোখে ধ্বংস দেখতে পাচ্ছে- তেল আবিবে, হাইফায় ভবন ধসে পড়ছে, চারদিকে আগুন জ্বলছে। সম্পত্তি বলে কিছু আর অবশিষ্ট নেই। মাত্র এক দিনেই আটজন নিহত, ২৫০ জন আহত; ইসরায়েলে বহু বছর ধরে এমন কিছু ঘটেনি। এসব পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলি সমাজ মোটেই প্রস্তুত ছিল না।”

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্লেষণ: ইসরায়েলিরা এখন বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজরা কী ভোগ করছে