‘বিরাট ভাই’য়ের কাছে ২-৩টি ঘড়ি চাইলেন বেঙ্গালুরুর তরুণ ব্যাটসম্যান
Published: 4th, April 2025 GMT
স্বস্তিক চিকারার আপাতত কোনো কাজ নেই।
নিলামে তাঁকে ৩০ লাখ রুপিতে কিনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে এখনো আইপিএল অভিষেক হয়নি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উঠে আসা এই তরুণ ব্যাটসম্যানের।
দলের সঙ্গেই আছেন, অনুশীলন করছেন, হাসিঠাট্টা করছেন, বড়দের কাছ থেকে শিখছেন আর অপেক্ষায় আছেন, কবে তাঁর ডাক পড়ে একাদশে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুর অনেকের সঙ্গেই তাঁর খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে। পাচ্ছেন অনেকের স্নেহও।
সবচেয়ে বেশি স্নেহ পাচ্ছেন সম্ভবত বেঙ্গালুরুর আইকন হয়ে ওঠা বিরাট কোহলির কাছ থেকে। এতটাই যে কোহলির কাছে যখন–তখন আবদারও করে বসছেন। নিজের ২০তম জন্মদিনে যেমন কোহলির কাছে ২-৩টি ঘড়ি উপহার চেয়েছেন চিকারা।
রঞ্জি ও সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি খেলা চিকারা প্রথম নজরে আসেন উত্তর প্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে। মিরাট ম্যাভেরিকসের হয়ে প্রথম মৌসুমেই করেছিলেন ৪৯৪ রান, ছিলেন ওই মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পরের মৌসুমে ৪৯৯ রান করেন ১৮৫ স্ট্রাইক রেটে। মূলত ওই পারফরম্যান্সই তাঁকে নিয়ে আসে আইপিএলের মেগা নিলাম টেবিলে এবং তাঁকে কিনে নেয় বেঙ্গালুরু।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান চিকারার জন্মদিন গেছে গতকাল। ঘটা করেই হয়েছে সেই উদ্যাপন। সতীর্থদের সবাইকে নিয়ে চিকারা কেক কেটেছেন। সেই কেক খাওয়া হয়েছে সবাই মিলে, হয়েছে মুখে মাখামাখিও।
সেই আয়োজনের একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, কোহলির কাছে নিজের জন্মদিনের উপহার চাইছেন চিকারা। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে চিকারা এক সতীর্থকে বলছেন, ‘বিরাট ভাইকে বলো না আমাকে ২-৩টা ঘড়ি উপহার দিতে।’
ঘড়ি সংগ্রাহক হিসেবে খ্যাতি আছে কোহলির। রোলেক্স, পাটেক ফিলিপের মতো বিশ্বখ্যাত ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ঘড়ি হাতে তাঁকে দেখা যায় সব সময়। যার কোনো কোনোটির দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭-৮ কোটি টাকার মতো। চিকারা কেন কোহলির কাছে ঘড়ি উপহার চেয়েছেন, বুঝতে পারছেন তো!
আরও পড়ুনঘড়ির পেছনে কত টাকা ব্যয় করেন হলান্ড০২ মে ২০২৩অবশ্য শুধু কোহলির ঘড়ি নয়, আরও অনেক কিছুর ওপরই চোখ পড়েছে চিকারার। কিছুদিন আগে চিকারা নিজেই বলেছিলেন, লুকিয়ে একবার কোহলির পারফিউম ব্যবহার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন তিনি।
আইপিএলে অভিষেকের অপেক্ষায় স্বস্তিক চিকারা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক হল র ক ছ উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।