সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ‘খাটের গাড়ি’ ভাইরাল হয়। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সড়ক ধরে চলে যাচ্ছে খাটসহ একটি বিছানা। এক ব্যক্তি সেই বিছানায় আরাম করে বসে আছেন। ব্যস্ত রাস্তায় ছুটে চলেছে বিছানা পাতা সেই খাট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, অদ্ভুত দেখতে ওই ‘খাটের গাড়ি’ তৈরি করেছেন ভারতীয় তরুণ নওয়াব শেখ। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এবারের ঈদের দিন সড়কে নিজের অদ্ভুত এই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন নওয়াব।
চলন্ত ওই খাটের দু’পাশে রয়েছে দুটো ব্যাক মিরর, রয়েছে স্টিয়ারিং, ব্রেক, চাকা। কিন্তু এগুলো সেই ভিডিওতে খুঁজলেও দেখতে পাওয়া কষ্টকর। একেবারে লুকিয়ে সেগুলো ফিট করা হয়েছে। যার কারণে প্রথমে দেখলে মনে হয় একটি খাট অদ্ভুতরকমভাবে এগিয়ে চলেছে।
ইনস্টাগ্রামে নওয়াবের চলন্ত খাটের ভিডিওটি পোস্ট করার পর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরের বেশি সময় ধরে পরিশ্রম করে গাড়িটি তৈরি করেছেন নওয়াব। এ জন্য তার ব্যয় হয়েছে দুই লাখ রুপি। মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শম্ভুনগরের বাসিন্দা ২৭ বছরের নওয়াবের ইচ্ছা ছিল এমন কিছু করার, যা তাকে ভাইরাল করবে। সেই ইচ্ছা অনুযায়ী, ঈদের দিন জেলার রানিনগর বাজার থেকে ডোমকল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় বারবার যাতায়াত করছিল এই খাট-গাড়ি। ফলে কৌতুহলী মানুষের ভিড়ে রাস্তায় তৈরি হয়েছিল তীব্র যানজট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে নওয়াবের গাড়ির প্রশংসা করলেও পুলিশ গাড়িটির সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে।
ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, “ভাইরাল ভিডিও নজরে এসেছে। ওই যুবকের ওই গাড়ি রাস্তায় চললে কতটা নিরাপদ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়া ওই গাড়ি পথে নেমে কোনো দুর্ঘটনা ঘটালে তার দায় কে নেবে? তাই রাস্তায় চালানোর ক্ষেত্রে এখন নিষেধ করা হয়েছে।”
এ নিয়ে দুঃখ করে নওয়াব বলেন, “ইচ্ছে ছিল আমার তৈরি করা চলন্ত খাটে বউ ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঘুরব, তা আর হলো না।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষিত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র: উপদেষ্টা মাহফুজ
জুলাই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মাহফুজ আলম লেখেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ই আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম আলোচিত বিষয় এই জুলাই ঘোষণাপত্র। অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে সম্প্রতি জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলকে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে।
পরের পাঁচটি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।