রাজস্থানের জয়রঠে বাঁধা হতে পারল না পাঞ্জাবও
Published: 6th, April 2025 GMT
এবারের আইপিএলে গত রাতের আগ পর্যন্ত কোন ম্যাচ হারেনি পাঞ্জাব কিংস। অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখতেই শ্রেয়াস আইয়ারের দল শনিবার (৫ মার্চ) রাতে নেমেছিল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। তবে পাঞ্জাবকে হারতে হয় ৫০ রানের বড় ব্যবধানে।
ঘরের মাঠ মহারাজা সিং আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব কাপ্তান শ্রেয়াস। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তোলে রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে পাঞ্জাব থেমে যায়, ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রানেই।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান ওপেনার জসস্বি জয়সওয়াল ও কাপ্তান সাঞ্জু স্যামসন উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। এই জুটি ভাঙে ৮৯ রানে। লকি ফার্গুসনের বলে স্যামসন আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে করেন ৩৮ রান। তিনে নামা রিয়ান পরাগকে নিয়ে স্বভাবসুলভ খেলতে থাকেন জয়সওয়াল। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফার্গুসনের বলেই ফেরার আগে ৪৫ বলে করেন ৬৭ রান। তিনি ইনিংসটি সাজান ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। ৩ চার ও সমান সংখ্যক ছয়ে ২৫ বলে ৪৩ রান করেন পরাগ।
আরো পড়ুন:
হারের হ্যাটট্রিক গড়ল চেন্নাই
সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হার
২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব শুরুতেই ইম্প্যাক্ট ব্যাটসম্যান প্রিয়ানশ আরিয়ার উইকেট হারায় কোনো রান না তুলেই। প্রাবশিরাম সিং আউট হন ১৭ রান করে। স্রেয়াশ আয়ার কাটা পড়েন ১০ রান করে। ১ রান করে বিদায় নেন মার্কাস স্টয়নিস। দলীয় ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে নেহাল ওয়াধেরা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল হাল ধরেন। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ওয়াধেরা ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। ম্যাক্সওয়েল করেন ৩০ রান। শশাঙ্ক সিং অপরাজিত থাকেন ১০ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয় পাঞ্জাব। ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রাজস্থানের পেসার জোফরা আরচার।
এই ম্যাচে জিততে পারলে দিল্লিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে যেতে পারত পাঞ্জাব। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম হারের দেখা পেলো শ্রেয়াসরা। ফলে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে তারা। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে রাজস্থানের এটা দ্বিতীয় জয়। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে গেল টেবিলের সপ্তম স্থানে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট হ র য় র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’