সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের স্ত্রীর ৫৬ ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি টাকার লেনদেন
Published: 6th, April 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে হাছান মাহমুদের স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলায় ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করা হয়। আজ বুধবার এ তথ্য জানায় দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে বলা হয়, আসামি নাজমুল হাসান ফিরোজ ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজ নামে এসব সম্পদ ভোগ ও দখলে রেখেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নাজমুল হাসান ফিরোজ সর্বশেষ মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক।
পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের এজাহারে আরও বলা হয়, নাজমুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আইনুন নিশাতের নামে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার ১১৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নাজমুলের নামে দায় রয়েছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩৮৫ টাকার। ফলে নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১ টাকা। অথচ আয়কর নথি অনুযায়ী নাজমুলের বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় মাত্র ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৮১১ টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, দুজনের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা।
দুদক বলছে, আসামি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করলেও তাঁর কাছ থেকে এসব আয়ের গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
দুদক আরও জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালে আসামি বা তাঁর নির্ভরশীলদের নামে–বেনামে অন্য কোনো সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে, সেটিও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।