‘বরবাদ’ সিনেমার পরিচালক ও ভারতীয় চিত্রগ্রাহকের ‘ভুল–বোঝাবুঝি’র অবসান
Published: 6th, April 2025 GMT
ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত মেহেদী হাসানের সিনেমা ‘বরবাদ’। ঢাকাসহ সারা দেশে সিনেমাটি দেখতে উপচে পড়ছেন দর্শক। এর মধ্যে আজ রোববার সিনেমার নির্মাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ভারতীয় চিত্রগ্রাহক শৈলেশ আওয়াস্থি। নির্মাতা মেহেদী হাসানের এক ফেসবুক পোস্টে ‘সিনেমাটোগ্রাফির ক্রেডিট’ নিয়ে বিতর্ক উসকে দেন তিনি। শৈলেশ দাবি করেন, এ সিনেমার প্রকৃত সিনেমাটোগ্রাফার তিনিই। শুধু তা–ই নয়, সিনেমাটির সৃজনশীল ও ভিজ্যুয়াল নির্মাণে তাঁরই প্রধান ভূমিকা। অথচ চূড়ান্ত ক্রেডিট থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে সিনেমাটোগ্রাফির স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে রাজু রাজকে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর সেই পোস্ট সরিয়ে ফেলা হয়। ফেসবুক পোস্টে শৈলেশ জানান, পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং পুরোটাই ছিল তাঁদের দুজনের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি।
ফেসবুক পোস্টে শৈলেশ লেখেন, ‘আমার এবং পরিচালক আমার ছোট ভাই হৃদয়ের মধ্যে একটি স্পষ্ট ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল, যা এখন সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা হয়েছে। আমরা এক পরিবারের, যেকোনো পরিবারের মতোই এখানে মতবিরোধ হতে পারে। কিন্তু পরমুহূর্তেই আমরা ভাইয়ের মতো বসে খাবার ভাগ করে নিই। এটাই আমাদের বন্ধন। দুর্ভাগ্যবশত কিছু ব্যক্তি তাঁদের নিজস্ব সুবিধার জন্য পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, দয়া করে, “বরবাদ” চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অপ্রয়োজনীয় সমস্যা তৈরি করবেন না।’
‘সিনেমাটোগ্রাফির ক্রেডিট’ নিয়ে বিতর্ক উসকে দেন শৈলেশ। কোলাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী