Risingbd:
2025-09-18@04:06:04 GMT

হায়দরাবাদের টানা ৪ হার

Published: 7th, April 2025 GMT

হায়দরাবাদের টানা ৪ হার

এবারের আইপিএলে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভাবা হচ্ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। প্রথম ম্যাচে কুড়ি ওভারের প্রায় তিনশ ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কমলা শিবির। তবে এরপরই ছন্দপতন হায়দরাবাদের। টানা ৩ ম্যাচ হার। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তারা রবিবার (৬ মার্চ) মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে। তবে ভাগ্য বদলায়নি তাদের। প্যাট কামিন্সের দল হেরেছে ৭ উইকেটের বিনিময়ে।

ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫২ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ। ছোট চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে ১৬.

৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই, স্কোরবোর্ডে ১৫৩ রান তুলে ফেলে গুজরাট।

ফহরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুব বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। ২৭ রান করেন হেনরিক ক্লাসেন। ২২ রানে অপরাজিত থাকেন প্যাট কামিন্স। ১৮ রান করেন অভিষেক শর্মা। কুড়ি ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫২ রানে থেমে যেতে হয়েছে তাদের। গুজরাটের হয়ে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন প্রাসিদ কৃষ্ণা ও সাই কিশোর।

আরো পড়ুন:

রাজস্থানের জয়রথে বাঁধা হতে পারল না পাঞ্জাবও

হারের হ্যাটট্রিক গড়ল চেন্নাই

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাই সুদর্শন আর জস বাটলার দলীয় ১৬ রানের মধ্যে ফিরে যান। তবে সেই পর্যন্তই। এরপর আগ স্বাগতিকদের কোন সুযোগ দিলেন না একপ্রান্ত আঁকড়ে রাখা শুভমান গিল। গুজরাট অধিনায়ক পাঁচে নামা অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে সহজাত ক্রিকেটই খেলতে থাকেন।

সুন্দর ভয়ংকর রূপ ধারন করে ২৯ বলে ৪৯ রান করে যান। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তার ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ২ ছক্কায়। বাকি কাজটুকু সারেন গিল আর শেরফান রাদারফোর্ড। গিল ৪৩ বলে ৯ চারে ৬১ আর রাদারফোর্ড ১৬ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

জয় দিয়ে আইপিএল শুরু করা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একের পর এক ম্যাচ হেরেছে। ৫ ম্যাচ শেষে মাত্র ১ জয় নিয়ে টেবিলের তলানিতে কামিন্সের দল। চার ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে শুভমান গিলের গুজরাট।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য়দর ব দ র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ