কঙ্গোর রাজধানীতে প্রবল বৃষ্টিপাতে ৩৩ জনের প্রাণহানি
Published: 7th, April 2025 GMT
আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) রাজধানী কিনশাসায় প্রবল বৃষ্টিপাতে ৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোরে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। খবর চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার।
ডিআর কঙ্গোর উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তামন্ত্রী জ্যাকমেইন শাবানি বলেছেন, শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাতভর প্রবল বৃষ্টিপাতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে কয়েক ডজন মানুষ হয়েছেন। অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নাটোরে শিলাবৃষ্টি, ফল ও ফসলের ক্ষতি
হবিগঞ্জে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
দুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তার জন্য সরকার সশস্ত্র বাহিনী, বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং কিনশাসা প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন করেছে।
বন্যার ফলে শহরের বেশিরভাগ অবকাঠামো অচল হয়ে পড়েছে। প্রধান সড়কগুলো ডুবে গেছে। শহরজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের শহরটিতে আরো ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।