চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নার মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন। 

এদিকে আজ আবারও নিজের ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেছেন ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। সেখানে তিনি স্বামীকে নিয়ে পুলিশের মহড়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.

মনির এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, শারীরিক নির্যাতনে গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন তামান্না। এতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান, এসআই জগৎজ্যোতি দাশ ও মনিরুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন বাবলা, জাবেদ ওরফে ভাগিনা জাবেদ এবং আনিকা ইসলামকে বিবাদী করা হয়। আদালত মামলাটি খারিজ করেছেন।

আজ তামান্না আবারও নিজের ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে রিমান্ডে থাকা স্বামী সাজ্জাদকে নিয়ে পুলিশের মহড়ায় প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার হাজবেন্ড কি কোরবানির গরু? তাঁকে নিয়ে এলাকায় এলাকায় মহড়া দিচ্ছেন?’

গত ১৫ মার্চ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর ফেসবুক লাইভে ‘কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ছেড়ে নিয়ে আসার’ কথা বলে আলোচনায় এসেছিলেন তামান্না। তিনি হাটহাজারী থানার শিকারপুর গ্রামের শফি মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী একই গ্রামের মো. জামালের ছেলে। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ ১৭ মামলা রয়েছে।

সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফা রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত রবি ও সোমবার তাঁকে নিয়ে রাউজান উপজেলা এবং নগরের অক্সিজেন এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।

দুই মিনিটের ভিডিওতে তামান্না বলেন, কোনো নজির আছে কি একজন রিমান্ডের আসামিকে এভাবে গরুর মতো রশি বেঁধে এলাকায় এলাকায় নিয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছেন ওসি আরিফ। আমার হাজবেন্ড কি কোরবানির গরু? তিনি যদি অপরাধী হন, তাঁর বিচার আদালত করবেন।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, চট্টগ্রামে জোড়া খুনের আসামি তামান্না। পালিয়ে থেকে তিনি অপতথ্য ছড়াচ্ছেন। তামান্নাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ সব ক এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ