লি না মানেই চ্যাম্পিয়নলি না কে? এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি নিশ্চিত গ্র্যান্ড স্লাম একক জয়ী প্রথম এশীয় খেলোয়াড়ের কথাই বলবেন। ২০১১ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে ইতিহাস গড়েন চীনের এই নারী টেনিস তারকা। পরে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও জেতা লি না ওই বছরই অবসর নেন। তবে চীনে গিয়ে যদি আপনি ‘লি না কে’ এই প্রশ্ন করেন, তবে ‘আপনি কোন লি নার কথা বলছেন’—পাল্টা এই প্রশ্ন শুনতে পারেন। কারণ, চীনের ক্রীড়াঙ্গনে বিখ্যাত লি নার তো অভাব নেই! টেনিসের লি না ছাড়াও দেশটিতে আছেন লি না নামের অলিম্পিক সোনাজয়ী ডাইভার ও ফেন্সার। আছেন সাইক্লিংয়ের কিরিন বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন লি না। ডাইভার লি না ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে জেতেন ১০ মিটার প্ল্যাটফর্মের সোনা। ফেন্সার লি না ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে সোনা জেতেন। সাইক্লিস্ট লি না ২০০২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কিরিনে সোনা জেতেন।২০০০-২০০০আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্ম ১৮৭৭ সালে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইতিহাসের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সে বছর টেস্ট হয়েছিল দুটি। আর দুই ম্যাচ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২০৯ রান করেছিলেন টেস্ট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান চার্লস ব্যানারম্যান। অস্ট্রেলীয় ওপেনার তাই টেস্টে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা প্রথম ব্যাটসম্যানও। এরপর দুই বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছে প্রতিবছরই। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছরই কেউ না কেউ সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। সেই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোহাম্মদ ইউসুফের নামটা আলাদা করে বলতেই হয়। না, টেস্ট ক্রিকেটের রেকর্ডটা তাঁর হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা ইউসুফের নয়। পাকিস্তান ব্যাটসম্যানকে আলাদা করেছে তাঁর রান সংখ্যাটা। ২০০০ সালে যে ঠিক ২০০০ রানই করেছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে সাল ও কোনো ব্যাটসম্যানের রান যে আগে–পরে কখনোই মেলেনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত

চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিতস্কি। রোববার রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত