পানি ব্যবহারে সীমারেখা বাতিল করলো ট্রাম্প
Published: 12th, April 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাড়িঘরে গোসল, থালা-বাসন ধোয়া, কাপড় কাচা ও গাড়ি ধোয়ার মতো গৃহস্থালী কাজে পানির অপচয় রোধ করতে পানি ব্যবহারে যে সীমারেখা জারি বাতিল করে দিয়েছেন।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওভাল অফিসে এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জো বাইডেন এই সীমারেখা জারি করেছিলেন।
স্বাক্ষরের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেন, “আমি শাওয়ার নিতে পছন্দ করি। আমি আমার সুন্দর চুলের যত্ন নিতে পছন্দ করি এবং এজন্য প্রয়োজন একটি চমৎকার শাওয়ার।” সূত্র : এপি
“কিন্তু যখন আমি শাওয়ারের নিচে দাঁড়াই, ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ে এবং আমার চুল ভিজতে লাগে ১৫ মিনিট। এটা হাস্যকর।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “হাত ধুতে স্বাভাবিক যে সময় লাগার কথা— তার চেয়ে যদি পাঁচগুণ বেশি সময় লাগে, তাহলে আপনি কিভাবে কি করবেন? তো, পানি একই আছে, এবং আমরা এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করছি যেন তারা বাঁচতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে ক্ষমতাগ্রহণের পর সুপেয় পানির অপচয় রোধ করতে গৃহস্থালী কাজে পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি সেই আদেশে স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাসাবাড়ির পাইপলাইনে পানি প্রবাহের গতিতে সীমারেখা টানা হয়েছিল। কারণ পাইপলাইনে পানির প্রবাহের গতি বেশি থাকলে পানির অপচয়ের সম্ভাবনাও বাড়ে।
ট্রাম্পের সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের পর এক বিবৃতি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিগত প্রেসিডেন্টদের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক গৃহস্থালী কাজগুলোকে আমলাতান্ত্রিক দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছিল। এখন থেকে আর শাওয়ার কিংবা ট্যাপে পানির প্রবাহ দুর্বল থাকবেনা।”
ওবামা এবং বাইডেন বাসাবাড়িতে পানির প্রবাহগতিতে সীমারেখা টানা সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিলেন ১৯৯২ সালের বিদ্যুৎ সাশ্রয় আইনের ভিত্তিতে। কারণ যদি পানির প্রবাহের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং পানি সাশ্রয়ী শাওয়ার-ট্যাপ ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বিদ্যুতও তুলনামূলকভাবে খরচ হয় কম।
যুক্তরাষ্ট্রের বাসাবাড়িতে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি ব্যয় হয়, তার ২০ শতাংশই হয় শাওয়ারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ন র প রব হ ব যবহ র কর ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি