কোহলির ফিফটির সেঞ্চুরি, বেঙ্গালুরুর রাজস্থান দুর্গ জয়
Published: 13th, April 2025 GMT
রান করতে করতে নিজেকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, কোনো ম্যাচ খেলতে নামার আগে রেকর্ড তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। রান তাড়া করতে নামলে তো কথাই নেই। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার উদ্দেশ্যেই যেন ব্যাটিংয়ে নামেন।
আইপিএলে আজ আরেকবার রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি পেয়ে গেলেন আরেকটি অপরাজিত ফিফটির দেখা। এতেই হয়ে গেল অনন্য কীর্তি। এশিয়ার প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১০০টি ফিফটি করলেন কোহলি। এই কীর্তিতে সব মিলিয়ে তিনি দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান। ১০৮ ফিফটি নিয়ে শীর্ষে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ বলে কোহলির অপরাজিত ৬২ রানের আগে ঝোড়ো ফিফটি (৩৩ বলে ৬৫) করেছেন তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী ফিল সল্ট। তাতে রাজস্থান রয়্যালসকে হেসেখেলে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
রাজস্থানের দুর্গ হিসেবে পরিচিত জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে এবারের আইপিএলে এটিই ছিল প্রথম ম্যাচ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা রাজস্থান ৪ উইকেটে করেছিল ১৭৩ রান। বেঙ্গালুরু লক্ষ্য টপকে গেছে ৯ উইকেট আর ১৫ বল বাকি রেখে।
এ জয়ের পর ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থান রয়ে গেল সাতেই।
রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল। খুব বেশি উইকেট না হারালেও বেঙ্গালুরু বোলারদের নিয়ন্ত্রিত ও বুদ্ধিদীপ্ত ‘স্লোয়ারের’ কারণে হাত খুলে খেলতে পারেননি রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা। বেঙ্গালুরুর হয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার ও যশ দয়াল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সল্টের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতেই বিনা উইকেটে ৬৫ রান তুলে ফেলে বেঙ্গালুরু। নবম ওভারে দলীয় ৯২ ও ব্যক্তিগত ৬৫ রানে সল্ট আউট হলেও ততক্ষণে বেঙ্গালুরু জয়ের ভিত পেয়ে যায়। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের হাতে।
১৫তম ওভারে তৃতীয় বলে রাজস্থানের লঙ্কান লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ছক্কা মেরে ‘শততম অর্ধশতকে’ পৌঁছান কোহলি। এবারের আইপিএলে এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি, যার দুটিতেই তিনি অপরাজিত।
সল্ট আউট হওয়ার পর কোহলিকে দারুণ সঙ্গে দিয়েছেন দেবদূত পাড়িক্কাল। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। রাজস্থানের হয়ে একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার কুমার কার্তিকেয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোররাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৭৩/৪ (জয়সোয়াল ৭৫, জুরেল ৩৫, পরাগ ৩০; হ্যাজলউড ১/২৬, ক্রুনাল ১/২৯, ভুবনেশ্বর ১/৩২, দয়াল ১/৩৬)।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৭.
ফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফিল সল্ট।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্য ২৮২, দক্ষিণ আফ্রিকা কি শিরোপা জিততে পারবে
অস্ট্রেলিয়া যত রানের লক্ষ্যই দিক, তাড়া করে ফেলার ‘বিশ্বাস’ আর ‘খুবই আত্মবিশ্বাস’ আছে বলে জানিয়েছিলেন ডেভিড বেডিংহাম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান যখন কথাটা বলেছেন, দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তখনই অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ২১৮ রানে।
আজ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের লিড নিয়ে গেছে ২৮১ রানে। যার অর্থ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ২৮২ রান। আইসিসি টুর্নামেন্টে বারবার হোঁচট খাওয়া প্রোটিয়ারা কি এবার ট্রফি হাতে তুলতে পারবে?
লর্ডসে আজ ম্যাচের তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া নেমেছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে। মিচেল স্টার্ক অপরাজিত ছিলেন ১৬ রানে, নাথান লায়ন ১ রানে। আজ দিনের তৃতীয় ওভারেই কাগিসো রাবাদার বলে ফেরেন লায়ন। তবে পরের উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খুব ভুগিয়েছেন স্টার্ক ও হ্যাজলউড।
এইডেন মার্করামের বলে হ্যাজলউড ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে অস্ট্রেলিয়ার দশম উইকেট জুটি ব্যাটিং করেছে ২২.২ ওভার, যোগ করেছে ৫৯ রান। লর্ডসে অতিথি দলের দশম উইকেটে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ। হ্যাজলউড ৫৩ বলে ১৭ করে আউট হলেও স্টার্ক ১৩৬ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এটি ছিল নয় নম্বরে নেমে তাঁর অষ্টম ফিফটি। টেস্ট ইতিহাসে নয় বা তার নিচে নামা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্টুয়ার্ট ব্রডের ৬) ফিফটির রেকর্ড।
প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে এখন নিজেদের পুরোনো কীর্তি ফেরাতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত পাঁচবার ২৫০ + রান তাড়া করে জেতার কীর্তি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার, তিনবারই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যার সর্বশেষটি ২০০৮ সালে পার্থের ওয়াকায়, ৪১৪ রান করে।