কুমিল্লায় মহাসড়কে হঠাৎ চলন্ত মাইক্রোবাসে আগুন, অল্পে রক্ষা পেলেন ৫ যাত্রী
Published: 13th, April 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলন্ত একটি মাইক্রোবাসে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে। চালক দ্রুত গাড়ি থামানোয় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন পাঁচ যাত্রী।
এ ঘটনায় অন্য কোনো গাড়ি বা যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের লিকেজের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানান, বেলা দেড়টার দিকে মহাসড়কের নিমসার বাজার এলাকায় চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী ওই মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। এ সময় চালক দ্রুত রাস্তার পাশে গাড়িটি থামালে যাত্রীরা নেমে যান। মুহূর্তের মধ্যেই গাড়িটি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দরজা খোলা অবস্থায় চলাচল করে বলে মানুষের কাছে যাত্রী পরিবহনের এসব গাড়ি দরজা খোলা মাইক্রোবাস নামে পরিচিত। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের বিভিন্ন এলাকায় এসব গাড়ি দাবড়ে বেড়াচ্ছে, যার বেশির ভাগেরই কোনো ফিটনেস নেই।
গাড়িটির চালক মো.
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পুড়ে যাওয়া গাড়িটি তারাই (মালিকপক্ষ) সরিয়ে নিয়ে যায়। কী কারণে আগুন লেগেছে, সেটা বিস্তারিত না জেনে বলা যাচ্ছে না। গাড়িটির ফিটনেস ছিল কি না, সেটাও কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক য় র এল ক সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত