সাভারে যাত্রীবাহী চলন্ত বাস থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক টাউনে মৌমিতা বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তারা সবাই ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির জানান, গত তিন মাসে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার ব্যাংক টাউন থেকে পুলিশ টাউন পর্যন্ত এলাকায় যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ছিনতাই করে আসছে একটি চক্র। দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করছে তারা।

এসব ঘটনা প্রতিরোধে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ব্যাংক টাউন এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, চৌকিতে রাজধানী ঢাকাগামী মৌমিতা পরিবহনে তল্লাশি করার সময় যাত্রীবেশে থাকা তিন ছিনতাইকারীকে সুইচ গিয়ার চাকুসহ আটক করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, অতীতের মতো যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা বাসে উঠেছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলন ত ব স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ