ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমা। মুক্তির পর থেকে হইচই পড়ে গেছে চারদিকে। এ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হলো মেহেদী হাসান হৃদয়ের। 

সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পী, নির্মাতারাও সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করছেন। বক্স অফিসেও ভালো করছে এটি। এরই মধ্যে সিনেমাটির বাজেট, শাকিব খানের পারিশ্রমিক নিয়ে কথা বলেছেন নির্মাতা হৃদয়। ‘বরবাদ’ সিনেমার সাফল্যের কারণ নানাভাবে নানাজন ব্যাখ্যা করেছেন। এবার সিনেমাটির পরিচালক সাফল্যের পেছনে পাঁচটি কারণ তুলে ধরেছেন। 

মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, “এক.

‘বরবাদ’ সিনেমার গল্প অসম্ভব ভালো। গল্পের উপস্থাপনেও আমরা নতুনত্ব রেখেছি। দুই. সিনেমাটিতে ইমোশনাল জায়গা আছে, যেগুলোর সঙ্গে দর্শকরা খুব সহজেই নিজেদের যুক্ত করতে পেরেছেন। তিন. সিনেমাটিতে চমৎকার প্রেমের ব্যাপার আছে। সিনেমাটির সংলাপগুলোও অনেক বেশি শক্তিশালী। চার. দর্শক সিনেমায় যে লেভেলের অ্যাকশন ও ভায়োলেন্স চায়, আমরা আমাদের চিন্তা থেকে তেমনভাবে ডিজাইন করেছি। যা দর্শককে সহজে আকৃষ্ট করেছে।”

আরো পড়ুন:

আমি শাকিব খানকে চিনি না: লাবণী সরকার

শাকিবের জন্য এলাহি আয়োজন

পঞ্চম কারণ খানিকটা ব্যাখ্যা করে মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, “পাঁচ. সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার পর আত্মতৃপ্তির যে ব্যাপার, সেটাও আমাদের সিনেমায় ছিল। একটি বার্তাও ছিল। সিনেমার শেষ সংলাপ হচ্ছে— পাপ বাপকেও ছাড়ে না। যতই ধনী বা প্রভাবশালী হোক না কেন, পাপ কাউকে ছাড়ে না—আমাদের সিনেমায় এটা চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘বরবাদ’ সিনেমার গল্পে এটাই ছিল আমার বার্তা, যা অন্য রকমভাবে সবার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটাও দর্শকের ভালো লাগছে। এ ছাড়া সিনেমায় চমক ছিল। একটি দৃশ্যের পর আরেক দৃশ্যে কী হবে, দর্শক অনুমান করে বুঝতে পারেনি। বিশেষ করে বিরতির সময়ের চমকটায় সবাই চমকে গেছে।”

‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ