শুধু বিএনপির কথায় নির্বাচন হবে না: ইসলামী আন্দোলন
Published: 18th, April 2025 GMT
শুধু বিএনপির কথায় নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ চায়, আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। শুধু বিএনপির কথায় নির্বাচন হবে না। অন্যান্য রাজনৈতিক দল কি সংস্কারের আগে নির্বাচন চায়? চায় না। তারা চায়, দেশের সংস্কার হোক; তারপর একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ভাটারায় আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন-পূর্ব সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, আগে সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ সমাপ্তি হতে দিন। নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়।
সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার হওয়ার পর নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়, মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখলে অবশ্যই ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিবাদের দোসরদের নির্বাচনে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সাথে গাদ্দারি হবে। কারণ, গণঅভ্যুত্থান শুধু নির্বাচনের জন্য হয়নি। যারা এখন নির্বাচন নির্বাচন জপতেছে, তারা মূলত ভারতের প্রেসক্রিপশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত ও ভারতকে খুশি করতে চায়।
ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন—আলহাজ আনোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মুস্তফা আল মামুন মনির, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মো.
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের দায়িত্বশীলবৃন্দ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় উলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী