শুধু বিএনপির কথায় নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ চায়, আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। শুধু বিএনপির কথায় নির্বাচন হবে না। অন্যান্য রাজনৈতিক দল কি সংস্কারের আগে নির্বাচন চায়? চায় না। তারা চায়, দেশের সংস্কার হোক; তারপর একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ভাটারায় আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন-পূর্ব সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, আগে সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ সমাপ্তি হতে দিন। নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়।

সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার হওয়ার পর নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়, মন্তব‌্য ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখলে অবশ্যই ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিবাদের দোসরদের নির্বাচনে নিষিদ্ধ করতে হবে।  শুধু নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সাথে গাদ্দারি হবে। কারণ, গণঅভ্যুত্থান শুধু নির্বাচনের জন্য হয়নি। যারা এখন নির্বাচন নির্বাচন জপতেছে, তারা মূলত ভারতের প্রেসক্রিপশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত ও ভারতকে খুশি করতে চায়।

ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন—আলহাজ আনোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মুস্তফা আল মামুন মনির, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মো.

মাছউদুর রহমান, মুফতি নিজাম উদ্দিন, মুফতি আরমান হোসাইন, শরিফুল ইসলাম, মুফতি সাব্বির আহমাদ, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, আলহাজ আলাউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সোলাইমান, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের দায়িত্বশীলবৃন্দ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় উলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি