গোপালগঞ্জে গোবিপ্রবির ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতাকে মারধর
Published: 18th, April 2025 GMT
চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন এবং সদস্য সচিব সাইদুর রহমানের ওপর হামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের ধারণা, হামলা পেছনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকতে পারে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণপূর্ত বিভাগের গেটের সামনে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদ গোবিপ্রবির আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন বলেন, আজ সন্ধ্যার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের কাচ্চি ডাইনে খাবার খেতে আমরা তিনজন ক্যাম্পাস থেকে যাই। গণপূর্ত বিভাগের গেটের সামনে পৌঁছালে ১৫-২০ জন যুবক আমাদের ঘিরে ধরে। তোরা চাঁদাবাজি করিস, তোদের চাঁদাবাজি ছোটাচ্ছি বলে তারা আমাদের কিল-ঘুষি মারতে থাকে। আমারা দুইজন আহত হই।পরে সঙ্গে থাকা অপর শিক্ষার্থী আমাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।”
আরো পড়ুন:
মধ্যরাতে কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি
নওগাঁয় বাসায় ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ‘সংগঠককে’ কুপিয়ে জখম
তিনি আরো বলেন, “বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে কয়েকজন বহিরাগত আমাকে খোঁজাখুঁজি করে। বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে জানায়, যারা খুঁজতে এসেছিল তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ কারণে আমি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লাকে নিয়ে আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই। ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে হয়তো ছাত্রলীগের লোকজন হামলা করতে পারে। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজাহিদ শেখ বলেন, “সারা বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হলেও গোপালগঞ্জ এখনো ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়নি। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুইজন নেতাকে কে বা কারা মারধর করে আহত করেছে। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো.
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আহত অভ য গ গ প লগঞ জ জ গ ব প রব আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক