গাজীপুরের চন্দ্রা কালিয়াকৈরে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়াটার্সে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের উপস্থিতিতে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (এ ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশন থেকে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সে এ বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন তারা। 

জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসাবিষয়ক জ্ঞান থাকা জরুরি। এতে জরুরি অবস্থায় আগুন থেকে বাঁচা এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দক্ষতার সঙ্গে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ শ্রম বিধি অনুযায়ী ভবনে কর্মরত সবার প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের মহড়া অপরিহার্য। ওয়ালটন সর্বদা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। 

বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সবার করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো.

মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমন পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই, প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের প্রশাসন বিভাগের উপ-প্রধান তানভীর আহম্মেদ,  পলিমার প্রসেসিংয়ের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা। 

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপৎকালে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য এ মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরী দলে বিভক্ত ছিল। ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইন্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম মহড়া সঞ্চালনা করেন।

ঢাকা/একরাম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়ালটনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালন 

আজ ২৮ এপ্রিল, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের অঙ্গীকার’। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করেছে দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। 

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল সচেতনতামূলক র‌্যালি, আলোচনা সভা, মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়ার্নেস ট্রেইনিং, আইডিয়া শেয়ারিং, গণসচেতনতা ও স্লোগান কনটেস্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, লাইভ সেভিং কার্ড বিতরণ ইত্যাদি। 

সোমবার সকালে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫’ উদযাপন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তার উপস্থিতিতে কর্মীদের মাঝে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হয়। এরপর পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়। 

আলোচনা সভায় মোহাম্মদ ইউসুফ আলী শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, নিরাপত্তা একটি বিশেষ ক্ষেত্রের মেধাবী সংস্কৃতি, যা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এটি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান অংশ হয়ে ওঠে এবং এটা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দ্বারা অর্জিত হয়। এ দায়িত্ব শুধু একটি বিভাগের ওপর নয়, বরং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জন করতে হবে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর প্রতিক কুমার মোদক বলেন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে প্রতিদিন নিজের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে সচতনতার মাধ্যমেই সামষ্টিক উন্নয়ন হবে।

আলোচনা সভায় ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু জানান, ওয়ালটনে কর্মরত প্রত্যেকে মিলে একটা পরিবার। ওয়ালটন তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বহু কর্মসূচি চলমান আছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি নিরূপণ, নিয়মিত মনিটরিং, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, থার্ড পার্টি অডিট, দুর্ঘটনার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়মিত ফায়ার ড্রিল, ভাল কাজে পুরস্কার প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পারমিট গ্রহণ, সময়োপযোগী বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, ভিজুয়াল অ্যাওয়ার্নেস ইত্যাদি। একজন সুস্থ্য ও সুরক্ষিত কর্মী কোম্পানির সম্পদ ও তারা কোম্পানির উন্নয়নে অনেক অবদান রাখতে পারেন। ওয়ালটন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও সরকারি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত কর্মীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। 

আলোচনা সভায় সেফটি কমিটির পক্ষে শ্রমিক প্রতিনিধি ও টিম লিডার মো. আব্দুর রহিম বলেন, “আমরা একটি নিরাপদ ওয়ালটন বজায় রাখতে চাই। আমরা আরো সচেতন হব এবং আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, তা করব। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, কর্মক্ষেত্র আরো নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবেন। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন—ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের ফিন্যান্স ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. নিজাম উদ্দীন মজুমদার, প্রশাসন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল হাসান, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কাউসার আহাম্মেদ চৌধুরি, সিকিউরিটি হেড অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, টিভি প্রডাক্টের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) কাজি মো. হাসিবুল হক, এসি প্রডাক্টের ডেপুটি সিবিও শামীম আহাম্মেদ, ইএপি সিসিও (চিফ কোয়ালিটি অফসার) মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জেনারেল অ্যাডমিনের নাজমুস সাদায়াত, ওয়ালটন ডিজি-টেক কর্পোরেশনের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বিবেকানন্দ সরকার, ওয়ালটন মেডিক্যাল সেন্টারের ইনচার্জ ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন লেলিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 

এছাড়াও ইএইচএস বিভাগের সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মাহফুজ হোসেন, মো. রায়হান, ফায়ার সেফটি ইনচার্জ ইশাদুল ইসলাম, ইটিপি ইনচার্জ মো. তাজমীর হাসান, পিসিএম ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম, ইএইচএস বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা, অংশগ্রহণকারী কমিটি ও সেফটি কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিসহ আরো অনেক কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইএইচএসের বিভাগীয় প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু।

ঢাকা/একরাম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়ালটনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালন