দেশে আট হাজার চিকিৎসক সংকট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, শিগগিরই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতা স্মারকে সই করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো.

সাইদুর রহমান এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।

বাংলাদেশ রেলওয়ের দশটি হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।‌ এ হাসপাতালগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

ঢাকার রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রামের রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, সিআরবি চট্টগ্রামের বক্ষব্যধি হাসপাতাল, হালিশহরের সিজিপিওয়াই (চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ড) হাসপাতাল, রাজশাহীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পাকশীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, সৈয়দপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, লালমনিরহাটের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, পার্বতীপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল ও সান্তাহারের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করবে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‌“আজকে আমরা হাসপাতালগুলো পরিচালনায় অংশ নিতে সম্মত হলাম। তবে এটার জন্য একটু সময় দরকার হবে।  আমাদের চেষ্টা থাকবে দ্রুত গতিতে সেবাটা সবার জন্য উন্মুক্ত করার।

তিনি বলেন, “রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সুবিধাটা পেতেন সেটা তো তারা পাবেনই। এই মুহূর্তে কোনো পরিবর্তন আমরা করতে পারছি না।”

এসময় রেলওয়ে উপদেষ্টা বলেন, “রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে সেবাটা আছে সেটা অব্যাহত থাকবে। সেখানে কোনো পরিবর্তন হবে না।”

ঢাকা/এএএম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ র লওয় উপদ ষ ট র লওয

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ