স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ফিল সিমন্সের। বোর্ডের মন জয় করে দুই বছরের জন্য চাকরি পাকাপাকি করেছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে নতুন পথচলা শুরু হয়েছে তার। কিন্তু নতুন অ্যাসাইনমেন্টের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। সিলেটে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে প্রথম ইনিংসে। গা-ছাড়া ক্রিকেটে এলোমেলো পারফরম্যান্সে হয়েছে ভরাডুবির পারফরম্যান্স।

‘‘আমরা অনেক বেশি ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করছি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা পিছিয়ে থাকি এবং দলগুলিকে আমাদের দিকে আসতে দেই (আক্রমণ)। এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা ভালো হয়নি, কিন্তু তারা সেটা করার চেষ্টা করছিল। মাঝে মাঝে সময় লাগে। আমরা এখন এভাবেই ক্রিকেট খেলতে চাই। সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে খেলতে প্রস্তুত থাকতে চাই।’’

পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়নি তা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান কোচ। কামব্যাকের সুযোগ থাকায় সেদিকেই তাকিয়ে তিনি, ‘‘গতকাল আমাদের যে কাজটা করার কথা ছিল তা করতে পারিনি। টেস্টের প্রথম দিনে এমন কিছু হয়েছে। আমাদের কামব্যাকের সুযোগ আছে। আমরা ভালো বোলিংও করিনি। আশা করছি আমরা আজ সকালে ভালো শুরু করতে পারব।’’

আরো পড়ুন:

জাতীয় দলের বাইরে রিসোর্স কম, মনে করিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন

ব‌্যর্থতা স্বীকারের সঙ্গে বাস্তবতার আয়নায় সালাউদ্দিন

সিমন্সের কথা রেখেছেন পেসাররা। গতির ঝড় তুলে নাহিদ রানা পেয়েছেন ২ উইকেট। আরেক পেসার নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেন্থ ধরে রেখে বোলিংয়ে করায় পেয়েছেন ১ উইকেট। দুই পেসারের সঙ্গে খালেদ আহমেদও ছড়িয়েছেন দ্যুতি। ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব ধরে রাখার কথা বললেন সিমন্স, ‘‘আমরা সকালে কিভাবে, কোন প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপ্রোচ করি তা দেখতে হবে। এটা নিশ্চিতভাবেই ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে করতে হবে। আমরা যদি ভালো লাইন ও লেন্থ ধরে রাখতে পারি তাহলে নিশ্চিতভাবেই ভালো হবে।’’

প্রস্তুতি এবং সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট সিমন্স, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে এবং এখানে সুযোগ-সুবিধা ভালো ছিল। যেটা হয়ে গেছে সেটা ফেরানো সম্ভব নয়। আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মন স আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ