সিনেমা মুক্তির পর দেশের অধিকাংশ নায়করা স্বশরীরে প্রচার-প্রচারণায় হাজির হোন। ব্যতিক্রম কেবল শাকিব খান। সিনেমা মুক্তির পরই যেনো ডুব দেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পেজ ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচার-প্রচারণা চালালেও ব্যক্তি শাকিব খান থাকেন অনেকটাই আড়ালে। যেনো নিভৃতচারি হয়ে বুঝতে চান দর্শকদের পালস।

এবার ঈদে তার অভিনীত ছবি ‘বরবাদ’মুক্তির পরও একই চিত্র দেখা গেল। অন্য চার ছবির নায়ক-নায়িকারা হলে হলে ঘুরলেও শাকিব খান ছিলেন বাসায়। শুরু করে দেন নতুন ছবির শুটিংও। যার বরবাদ নিয়ে এতো উন্মাদনা তার এমন নিরবতা নিয়ে অনেকেই মুনক্ষুন্নও হয়েছেন। প্রিয় নায়কের সাফল্যমণ্ডিত হাসি দেখার অপেক্ষায় প্রহরগুণছিলেন অনেকেই।

অবশেষে নায়ক সিনেমা হলে এলেন ‘বরবাদ’ মুক্তির ২২তম দিনে। সোমবার রাজধানী উত্তরার স্টার সিনেপ্লেক্সে হয়ে গেল বরবাদ সিনেমার স্পেশাল শো। এসেই জানালেন, বাসায় সিনেমা নিয়ে তার অনেক টেনশনে থাকেন। বাসায় বসে বসে সিনেমার রিভিউগুলো পড়েন। দর্শকদের ভালোলাগা মন্দ লাগার বিষয়গুলো জানেন। এতেই মধ্যমণি হয়ে হাজির হয়েছিলেন শাকিব খান।

এসেই গণমাধ্যমের সামনে নায়ক বললেন, দর্শক সিনেমাটাকে এত ভালোবাসা দিচ্ছে, যা সত্যি অতুলনীয়। এত মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। নতুন ছবির শুটিংয়ের কারণে সময় করতে পারিনি। আজ অবশেষে আসতে পারলাম।’

বরবাদ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মেহেদি হাসান হৃদয়। এটি তার প্রথম সিনেমা। বিশেষ শোতে শাকিব খান উপস্থিত হওয়ার আগেই চলে আসেন তিনি। সঙ্গে আসেন সিনেমার প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি। সিনেমা হলে আসতে না আসতেই ক্যামেরার ঝলক ঘিরে ধরে তাদের। এ সময় তারাও বরবাদের সাফল্যে উচ্ছ্বাসের কথা জানান। পরে অপেক্ষা করতে থাকেন শাকিব খানের। দেশের শীর্ষ নায়ক আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্যামেরা। যেনো শাকিব খানের একমুহুর্তও মিস করা যাবে না। মুহুর্তেই সে ভিডিও ছড়িয়ে যায় সাামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

এ সময় সিনেমা নিয়ে শাকিব খান তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা জানিয়ে বলেন , ‘আমি একসময় স্বপ্ন দেখতাম, দেশের মাল্টিপ্লেক্সে আমার ছবি চলবে, দেশের বাইরে বলিউড, হলিউড সিনেমার পোস্টারের পাশে আমার দেশের সিনেমার পোস্টার থাকবে। গত দু-তিন বছরে কিন্তু সেটাই হচ্ছে। দেশে-বিদেশে সবখানে আমার দেশের সিনেমা মানুষের মন জয় করছে। আমার শখ কিন্তু এখনো পূরণ হয়নি, আরো অনেক কিছু করা বাকি আছে।

আপনারা হয়তো ভাবছেন, বরবাদ লাস্ট সিনেমা, যেটা ১০০ কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। এটা শেষ নয় বরং শুরু। গত বছর তুফান দেখেছি, ভালো বিজনেস করেছে। এ বছর বরবাদ এলো, তার চেয়েও ভালো বিজনেস করল। আগামীতে যেই সিনেমাগুলো আসবে, ইনশাআল্লাহ সেগুলো আরো ভালো করবে। ইতিমধ্যে আমার এই দুই প্রযোজক নতুন সিনেমার গল্প নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সেই গল্পের কাছে বরবাদ অনেক ছোট মনে হবে।’

উদাহরণ টেনে শাকিব খান আরও বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এক সপ্তাহে একটি সিনেমা ১০০ কোটির ব্যবসা করেছিল, সেটা তাদের জন্য বিরাট ব্যাপার ছিল। কিন্তু যারা সিনেমা তৈরি করেছেন, তাদের লক্ষ্য ছিল এক হাজার কোটি। এখন দেখা যায়, পাশের দেশের সিনেমাগুলো হাজার কোটিতে না পৌঁছলে সুপারহিটই ঘোষণা করা হয় না।’

এদিন প্রেক্ষাগৃহে শাকিব খানের সঙ্গে বিশেষ প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত  ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ, পরিচালক শিহাব শাহীন, দীঘি, সুনেরাহ বিনতে কামাল, আরশ খান, ইমন, কণ্ঠশিল্পী কোনালসহ অনেকে।

‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে আছেন কলকাতার ইধিকা পাল। এ ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ, কোথায়, কখন, কোন দল

ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল।

বিক্ষোভের আগে বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলবে।

প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায়, আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।

জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন। দাবিগুলো হচ্ছে

জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সাড়ে চারটায় জামায়াত

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।জোহরের পর ইসলামী আন্দোলন

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আসরের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ছাড়া খেলাফত মজলিস বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।

একই সময়ে, একই জায়গায় মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল চারটায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীর মধ্য এলাকায় একযোগে সাতটি দলের বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের সমাগমে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য নগরবাসী দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও আজ ও আগামীকাল সকালে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এই সাত দল কর্মসূচি বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ