৫ আগস্টের আগে তৈরি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে না: পিএসসি
Published: 22nd, April 2025 GMT
বিসিএসসহ নন–ক্যাডারের যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গত বছরের ৫ আগস্টের আগে তৈরি বা ছাপানো হলে, সেগুলো দিয়ে কোনো পরীক্ষা নেবে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার পিএসসির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পিএসসির সূত্রটি জানিয়েছে, বর্তমান কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫ আগস্টের আগে তৈরি বা ছাপানো কোনো প্রশ্নপত্র বা ম্যানুস্ক্রিপ্ট বর্তমান কমিশন কর্তৃক কোনো চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে না। এ ছাড়া বিজি প্রেসে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার কোনো প্রশ্ন ছাপানো হবে না বলেও কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই কোনো অপতথ্য দ্বারা চাকরিপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেছে পিএসসি।
এদিকে পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা–সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নজরে এসেছে। ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর ভিত্তিহীন। এ ধরনের মিথ্যা তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের অনুমাননির্ভর ও অসত্য তথ্য দ্বারা বিসিএস পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনসপ্তাহে ১ দিন কাজ ছয় দিন ছুটি—বিশ্বের কোন দেশে আছে এমন চাকরি৮ ঘণ্টা আগেসংবাদমাধ্যমের প্রতি পিএসসি অনুরোধ করেছে, সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে তথ্যের সঠিকতা যাচাই না করে বিসিএস পরীক্ষা ও প্রশ্নপত্র–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার না করার।
আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর, বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের বক্তব্য জানাল পিএসসি২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ব স এস প এসস
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।