বিসিএসসহ নন–ক্যাডারের যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গত বছরের ৫ আগস্টের আগে তৈরি বা ছাপানো হলে, সেগুলো দিয়ে কোনো পরীক্ষা নেবে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার পিএসসির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পিএসসির সূত্রটি জানিয়েছে, বর্তমান কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫ আগস্টের আগে তৈরি বা ছাপানো কোনো প্রশ্নপত্র বা ম্যানুস্ক্রিপ্ট বর্তমান কমিশন কর্তৃক কোনো চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে না। এ ছাড়া বিজি প্রেসে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার কোনো প্রশ্ন ছাপানো হবে না বলেও কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই কোনো অপতথ্য দ্বারা চাকরিপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেছে পিএসসি।

এদিকে পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা–সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নজরে এসেছে। ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর ভিত্তিহীন। এ ধরনের মিথ্যা তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের অনুমাননির্ভর ও অসত্য তথ্য দ্বারা বিসিএস পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনসপ্তাহে ১ দিন কাজ ছয় দিন ছুটি—বিশ্বের কোন দেশে আছে এমন চাকরি৮ ঘণ্টা আগে

সংবাদমাধ্যমের প্রতি পিএসসি অনুরোধ করেছে, সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে তথ্যের সঠিকতা যাচাই না করে বিসিএস পরীক্ষা ও প্রশ্নপত্র–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার না করার।

আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর, বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের বক্তব্য জানাল পিএসসি২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ব স এস প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ