৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নজরে এসেছে।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, কতিপয় প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, তাঁদের মনে হচ্ছে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইতিমধ্যে ফাঁস হয়ে গেছে। এই প্রশ্নপত্র বিজি প্রেস থেকে ছাপানো সেই প্রশ্ন.

...ইত্যাদি। তাঁদের সঙ্গে প্রশ্নকারকদের যোগাযোগ হয়েছে, যাঁরা তাঁদের নিশ্চিত করেছেন, ৫ আগস্টের পর তাঁরা পিএসসিকে কোনো প্রশ্নপত্রের সেট করে দেননি।

আরও পড়ুনসপ্তাহে ১ দিন কাজ ছয় দিন ছুটি—বিশ্বের কোন দেশে আছে এমন চাকরি৫ ঘণ্টা আগে

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানিয়েছে, এরূপ মনগড়া, অনুমান ও ধারণাভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের মিথ্যা তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের অনুমাননির্ভর ও অসত্য তথ্য দ্বারা বিসিএস পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

কোনো বিসিএস পরীক্ষার্থী কর্তৃক প্রশ্নকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথিত বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন খুবই অনভিপ্রেত একটি ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কোনো বিসিএস পরীক্ষার্থীর এরূপ তৎপরতা অনৈতিক ও অপরাধমূলক এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন এমন তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে।

আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে নিয়োগ, আগ্রহীদের সুযোগ ১ মে পর্যন্ত১ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে তথ্যের সঠিকতা যাচাই না করে বিসিএস পরীক্ষা ও প্রশ্নপত্র–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার না করে।

আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত২১ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ সরক র পর ক ষ র প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ