সত্যিই কি দিনে পাঁচ লিটার দুধ খান ধোনি, নিজেই দিলেন উত্তর
Published: 23rd, April 2025 GMT
তখন সবে লম্বা চুলের লোকটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব। ব্যাট হাতে তাঁর সেই হেলিকপ্টার শট প্রতিপক্ষের বোলারদের দুঃস্বপ্ন হতে শুরু করেছে। ২০০৪-০৫ মৌসুমে হঠাৎ আলোচনায় চলে আসা সেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে নিয়ে তখন থেকেই নানা গুঞ্জন!
ব্যাটসম্যানের নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। মাঠের চারদিকে তাঁর ছক্কা আর চারের ফুলঝুরি দেখেই হয়তো সেই গুঞ্জনের শুরু। তাঁর অবিশ্বাস্য এনার্জি দেখে সবাই অবাক! এই ছেলে খায় কী? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। সেই উত্তরও খুঁজে বের করে ফেললেন অনেক ক্রিকেটপ্রেমী। ধোনির ব্যাটে এত পাওয়ার নাকি আসে প্রতিদিন ‘পাঁচ লিটার মিল্ক ডোজ’ থেকে! কে জানে, মাঠের চারপাশে তাঁকে বল ওড়াতে দেখেই হয়তো সমর্থকেরা ধরে নিয়েছিলেন এই লোকটা রক্তে নয়, দুধে চলে!
আরও পড়ুনআইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ, যা বলল রাজস্থান১ ঘণ্টা আগেআসলেই কি তা-ই? উত্তরটা এবার ধোনি নিজেই দিলেন। সম্প্রতি একটা প্রচারণা অনুষ্ঠানে গিয়ে। যে অনুষ্ঠানের ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করা হয়েছে ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংসের এক্স হ্যান্ডলেই।
মঞ্চে বসে থাকা ধোনিকে হঠাৎ সঞ্চালক প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার সম্পর্কে শোনা সবচেয়ে হাস্যকর গুজব কোনটা?’
একটু হেসে ধোনি উত্তর দিলেন, ‘আমি নাকি দিনে পাঁচ লিটার দুধ খাই!’
উত্তর শুনে সঞ্চালক নিজেই যেন অবাক—‘মানে এই কথাটা সত্যি না?’
ধোনি এক গাল হেসে বলেন, ‘আরে না। হয়তো এক লিটার খেতাম, তা–ও সারা দিন মিলিয়ে। বাকি চার লিটারের কথা বাড়াবাড়ি। এটা তো যে কারও জন্যই বেশি!’
গুজবের ফর্দ এখানেই থামেনি। সঞ্চালকের পরবর্তী প্রশ্ন, ‘ধোনি কি সত্যিই ওয়াশিং মেশিনে লাচ্ছি বানিয়ে খেতেন?’
মানে মিক্সার জারে বানানো অল্প লাচ্ছিতে তাঁর চলত না? এটাও সেই সময়ের গুজব। ধোনি উত্তর দিয়েছেন এই প্রশ্নেরও, ‘সত্যি কথা হচ্ছে, আমি লাচ্ছিই খাই না রে ভাই।’
কে জানে, ধোনির সেই শুরুর দিকের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স আর তাঁর ডাকাবুকো চেহারা দেখেই হয়তো লোকে এমন সব আজগুবি গুজব ছড়িয়েছিল।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’