ঢাকার অন্যতম নাটকের দল ঢাকা পদাতিক। দলটির ৩৮তম প্রযোজনা ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। আগামী ২৯ এপ্রিল, সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ২৭ ও ২৮ এপ্রিল হবে নাটকটির মহড়া।
বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মাস্টার দা সূর্যসেনের প্রহসনমূলক বিচার ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে নাটকটি মঞ্চে আনে ঢাকা পদাতিক। ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নাটক রচনা ও নির্দেশনা দেন নাট্যজন মাসুম আজিজ। তার মৃত্যুর পর নব নির্দেশনার কাজটি করছেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
রুনা খানের বাবা মারা গেছেন
মহানগর নাট্যোৎসব স্থগিতের কারণ জানালেন ফারুকী
গত বছর দিল্লিতে নাটকটির দুটি প্রদর্শনী হয়। সেখানেও বেশ প্রশংসা কুড়ায়। এ বিষয়ে নাদের চৌধুরী বলেন, “ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ঐতিহাসিক একটি নাটক। এর রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াত মাসুম আজিজ ভাই। পরবর্তীতে এই নাটকের কিছু কিছু জায়গায় প্রয়োজন সাপেক্ষে অলংকরণ করে আমি নবনির্দেশনার কাজটি করেছি। মাস্টার দা সূর্যসেন এই নাটকের প্রধান চরিত্র, এটি আমি রূপায়ন করেছি। ঐতিহাসিক এই নাটক এখনকার জেনারেশনের দেখা উচিত।”
এ নাটকের চরিত্র সংখ্যা প্রায় ৪০টি। এসব চরিত্র হলো— সূর্যসেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকা রায়, নির্মল সেন, ব্রিটিশ উকিল, নেত্র সেন, বাঙালি উকিল প্রমুখ। এসব চরিত্র রূপায়ণ করছেন, নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক কুমকুম, মনজুরুল ইসলাম নানটু, শাহনাজ পারভিন জয়া, মামুন উর রশিদ, শ্যামল হাসান, সাবিহা জামান, আক্তার হোসেন, তারেক আলী মিলন, আতিক, রবিউল মিলটন, আল আমিন, সুমন ঘোষ, নিপা প্রমুখ।
নাটকটির লাইট ডিজাইন এবং প্রক্ষেপনে রয়েছেন জাকারিয়া কিরন, সংগীতায়োজনে রয়েছেন আবুল বাশার সোহেল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টকট র ন টক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম