লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি আন্তনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালুর দাবিতে টানা চার দিন ধরে পাটগ্রামে রেলপথ অবরোধ করে নানা কর্মসূচি পালন করছেন এলাকাবাসী। এতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথে চলাচলকারী আরও চারটি ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গত সোমবার থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে পাটগ্রাম সংগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম রেলস্টেশনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুড়িমারী থেকে আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন সরাসরি চালুর ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার পাশাপাশি মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।

পাটগ্রাম সংগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি এ টি জে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ প্রধান, আমিনুল হক, শিক্ষক প্রতিনিধি ওয়ালিউর রহমান, অধ্যক্ষ শওকত হায়াত প্রধান, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর কবির, পাটগ্রাম কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবী পরিষদের সভাপতি আবদুল আকবার বিন আফসার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে বেশ কয়েকবার রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি চালু করার দাবিতে আন্দোলন করেন স্থানীয় লোকজন। এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অন্তত পাঁচবার দিন-তারিখ উল্লেখ করে ঢাকাগামী আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালুর প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে রহস্যজনক কারণে ট্রেনটি চালু না হওয়ায় আবার অবরোধের ডাক দেন এলাকাবাসী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ১২ মার্চ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি বুড়িমারী থেকে যাত্রা করে। একদিন পর সেটি আবার লালমনিরহাট থেকে চলাচল শুরু করে। এতে বুড়িমারী থেকে চলাচলকারী যাত্রীদের একটি শাটল ট্রেনের মাধ্যমে লালমনিরহাটে গিয়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠতে হয়। এতে হয়রানির মুখে পড়েন সেখানকার যাত্রীরা।

পাটগ্রাম রেলস্টেশনের মাস্টার নুর আলম বলেন, টানা চার দিন ধরে অবরোধ চলায় এ পথে চলাচলকারী চারটি ট্রেনের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন সরাসরি বুড়িমারী থেকে কবে চালু হবে, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র নট

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে