গৌরনদীর সাবেক পৌর মেয়রের ফাঁসি দাবি
Published: 24th, April 2025 GMT
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র হারিছুর রহমানের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা বিএনপি এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল ১০টার দিকে সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, হারিছুর রহমান ২৪-এর জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে সীমাহীন দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ লুটপাট করেছেন। লুটপাট ও দুর্নীতির টাকায় তিনি এখন জেলখানায় বিলাসী জীবনযাপন করছেন। কারাগারে দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অসৎ পুলিশ সদস্যরা তাঁকে সহায়তা করছে। তাঁর দুর্নীতি তদন্তে দুদকের কমিটি গঠনসহ শিগগির হারিছুরের বিচার ও ফাঁসির দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেল কোড অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার বাইরে যদি জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সদস্যরা হারিছুরকে কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়, তা হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে আমরা জেলখানা ঘেরাও করব।’
গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান, গৌরনদী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শফিকুর রহমান শরীফ স্বপন, বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদুল আলম খান সেন্টু প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত মসজিদ কমিটির সভাপতির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৫২) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (১৪ জুন) তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (১৪ জুন) রাতে চর আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং সদস্য সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে অভিযুক্ত রহিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিশোর গ্যাং সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন:
পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর বিষপান, মারা গেলেন স্বামী
ফুলকুমার নদে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নিহতের ভাই মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ চর আবাবিলের উদমারা এলাকায় জুয়ার আসর ও মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ৩ এপ্রিল স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে সদর হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর শনিবার (১৪ জুন) তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর আলম উদমারা সাহাদু উল্যা মাঝিবাড়ি জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। মসজিদের আশপাশে মাদক ও জুয়া বন্ধে তার ভূমিকার কারণে কিশোর গ্যাংয়ের বিরাগভাজন হন তিনি। হামলায় নেতৃত্ব দেন কিশোর গ্যাং সদস্য জুবায়ের, বাহার ও সাব্বির।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রাজিয়া বেগম ৭ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং ১০ এপ্রিল মামলা রুজু হয়।
এর আগে একই এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় সুদেব শীল মনু নামে একজন নিহত হন। এ সব ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করলেও থামেনি কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য।
ঢাকা/লিটন/বকুল